
নেইমার
চোটে মাঠের বাইরে, কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে ঠিকই আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। তাঁর ক্যারিয়ারের মতো ব্যক্তিগত জীবনেও চলছে টানাপোড়েন, রোমান্স আর চমকের গল্প। একের পর এক প্রেম, বিচ্ছেদ, আবার মিলন, সঙ্গে একাধিক সন্তানের আগমন—সব মিলিয়ে নেইমারের জীবন যেন রীতিমতো একটি রোমান্টিক টিভি সিরিজের গল্পকেও হার মানায়।
নেইমারের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ব্রাজিলের সর্বকালের সেরাদের একজন হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে। যদিও নিজের সময়ের অন্যতম সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, সর্বকালের সেরা হওয়ার পথে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। পিএসজিতে মেসির ছায়া এড়াতে গিয়ে সৌদি আরবের আল হিলাল হয়ে এখন ফের সান্তোসে। ফুটবলের বাইরেও তারকা নেইমার, বরং বলা যায়, ব্যক্তিগত জীবনের কারণেই এখন বেশি আলোচিত।
তাঁর প্রথম প্রেমিকা কারোলিনা দান্তাসের সঙ্গে প্রেম জমেছিল ২০১০ সালে, তখন নেইমার কিশোর। ২০১১ সালে জন্ম নেয় তাঁদের ছেলে দাভি লুকা। যদিও সম্পর্ক টেকেনি, তবে ‘মর্ডান কো-প্যারেন্টিং’-এর আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। সন্তানের জন্মদিনে একসঙ্গে কেক কাটা হোক কিংবা ছুটিতে যাওয়া—দুজনেই দায়িত্ব ভাগ করে নিচ্ছেন।
এরপর নেইমারের জীবনে আসেন ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার ও স্টাইল আইকন ব্রুনা বিয়ানকার্দি। ২০২২ সালে শুরু হয় প্রেম, পরে বিচ্ছেদ, ফের মিলন, এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে জন্ম নেয় তাঁদের কন্যা মাভি। কিন্তু এই গল্পেও ছিল নাটকীয়তা। নেইমারের জীবনের মাঠেও ‘ফাউল’—২০২৩ সালের নভেম্বরে তাঁদের আবার বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু চমক এখানেই নয়, ২০২৪ সালের শেষে তাঁরা ফের এক হন। কারণ, ব্রুনা আবারও অন্তঃসত্ত্বা, এবার আসছে নেইমারের চতুর্থ সন্তান!
এখন প্রশ্ন, তৃতীয়টি কবে এল? সেটাও আরেক গল্প। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি জানা যায়, নেইমার ব্রাজিলিয়ান মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার অ্যামান্ডা কিম্বার্লির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, যাঁর কোলেও এসেছে নেইমারের আরেক কন্যা—হেলেনা। ধারণা করা হয়, এই সম্পর্কটি গড়ে উঠেছিল ব্রুনার সঙ্গে বিচ্ছেদ চলাকালীন সময়ে। যদিও এখন অ্যামান্ডার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই নেইমারের, এমনকি একে অন্যকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনুসরণ করেন না, তবে হেলেনার বাবার দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করছেন তিনি।
এই অবস্থায় নেইমারের পরিবার যেন একটি ছোটখাটো ফুটবল টিম—নেইমার নিজে, বান্ধবী ব্রুনা, সন্তান দাভি, মাভি, হেলেনা এবং গর্ভে থাকা আসন্ন সন্তান। তবে এই গল্প এখানেই থেমে যাবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, নেইমার বলে কথা—চমক দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার!