
মোবাইল সিম
বাংলাদেশে মোবাইল সিম ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০টি নির্ধারণ করে অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখের বেশি। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশের কমপক্ষে ৫টি বা তার কম সিম রয়েছে। তবে প্রায় ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর নামে রয়েছে ১০টির বেশি সিম, যা মিলিয়ে প্রায় ৬৭ লাখ অতিরিক্ত সিমের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিটিআরসি। গত মে মাসে ২৯৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এর অনুমোদন দেয়।
পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন কীভাবে হবে:
-
১ আগস্ট থেকে তিন মাস সময়: ব্যবহারকারীদের নিজ উদ্যোগে ১০টির বেশি সিম বাতিল করার সুযোগ দেওয়া হবে।
-
সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক প্ল্যাটফর্ম: এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমধারীদের তালিকা তৈরি হবে।
-
অপারেটরের নোটিশ: সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের এসএমএস ও অনলাইন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সতর্ক করা হবে।
-
অপেশাদার সিম বাছাই প্রক্রিয়া: গ্রাহকের সর্বোচ্চ রাজস্ব আনা সিমগুলো রেখে, কম ব্যবহৃত বা নিষ্ক্রিয় সিমগুলো বাতিলের জন্য প্রস্তাব করা হবে।
-
সমন্বিত সিম নির্বাচন: গ্রাহকের প্রতিটি অপারেটরের অন্তত একটি সিম রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে অপারেটরের পছন্দের দুটি সিমও প্রাধান্য পাবে।
কীভাবে জানবেন নিজের সিমের সংখ্যা?
ডায়াল করুন *১৬০০১# নম্বরে, সঙ্গে রাখুন জাতীয় পরিচয়পত্র। জানা যাবে আপনার নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ও অপারেটরভিত্তিক বিবরণ।
যদি ভুল করে প্রয়োজনীয় সিম বন্ধ হয়ে যায়?
গ্রাহক চাইলে অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ সিম পুনরায় নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
চূড়ান্ত সময়সীমা:
আগামী নভেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে গ্রাহকবান্ধব প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
বিটিআরসির এই সিদ্ধান্ত দেশের সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার একটি বড় পদক্ষেপ। ব্যবহারকারীদের উচিত এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সিম ছাড়া বাকি সিম বাতিল করে ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়ানো।
প্রয়োজনে আমি এই সংবাদটি ইনফোগ্রাফিক বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট আকারে সাজিয়ে দিতে পারি। বললে তৈরি করে দিই।