
বিশ্বসেরা কোচদের দৌড়ে কার কোথায় অবস্থান
বিশ্ব ফুটবলে কোচদের নিয়োগ এখন শুধু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নয়, অর্থনৈতিক বিবেচনাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আলোচিত নাম এখন কার্লো আনচেলত্তি। ক্লাব ফুটবলে প্রায় সব শিরোপা জেতা এই ইতালিয়ানকে দায়িত্ব দিয়েছে ব্রাজিল, যারা ঐতিহ্যগতভাবে বিদেশি কোচে আস্থা রাখে না। তবে বিশ্বকাপ খরা ঘোচানোর আশায় তারা এবার ভেঙেছে নিয়ম, আর আনচেলত্তিকে দিচ্ছে ইতিহাসের অন্যতম বড় আর্থিক সুবিধা।
ব্রাজিলের গ্লোবোস্পোর্ত জানিয়েছে, আনচেলত্তির বছরে বেতন হবে ১ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার—মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। সঙ্গে রিও ডি জেনিরোতে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, জেট বিমানে যাতায়াতের সুবিধাও থাকছে। বিশ্বকাপ জিতলে পারফরম্যান্স বোনাসও পাবেন ৫৬ লাখ ডলার!
আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বী বড় দেশগুলোর কোচদের বেতনও কম নয়। ইংল্যান্ডের টমাস টুখেল পাচ্ছেন বছরে ৬৭ লাখ ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের মরিসিও পচেত্তিনো ৬০ লাখ, জার্মানির ইউলিয়ান নাগলসমান ৫৪ লাখ, আর পর্তুগালের রবার্তো মার্তিনেজ ৪৫ লাখ ডলার। ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম ও উরুগুয়ের মার্সেলো বিয়েলসা পাচ্ছেন যথাক্রমে ৪১ ও ৪০ লাখ ডলার।
লাতিন আমেরিকায় চিত্র কিছুটা ভিন্ন। চিলি কোচ গার্সিয়ার বেতন ৩৭ লাখ ডলার হলেও ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার লিওনেল স্কালোনি পাচ্ছেন মাত্র ২৬ লাখ ডলার। অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং অভিজ্ঞতার ঘাটতিই হয়তো এই পার্থক্যের কারণ। স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের বেতন আরও কম—২০ লাখ ডলার।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোচদের পারিশ্রমিক নির্ধারিত হচ্ছে কেবল তাদের সাফল্য নয়, বরং দেশটির অর্থনৈতিক সামর্থ্য, প্রত্যাশার চাপ এবং আসন্ন টুর্নামেন্টের গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে। আর এই সব কিছুর শীর্ষে এখন আনচেলত্তি—বেতনেও, দৃষ্টির কেন্দ্রেও।