
বিমান
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকে ২৫টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
রোববার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, "বোয়িং কোম্পানির মাধ্যমে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে আমাদের ১৪টি বোয়িং অর্ডার ছিল। এবার শুল্ক ঘাটতি আরও কমাতে অতিরিক্ত অর্ডার দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, বোয়িং সরবরাহে সময় লাগবে। কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা অনুযায়ী ১-২ বছরের মধ্যে এসব উড়োজাহাজ সরবরাহ করা হবে।
সচিব বলেন, “আমরা শুধু নই, ভারত ও ভিয়েতনাম ১০০টি এবং ইন্দোনেশিয়া ৫০টি বোয়িং কিনছে। বোয়িং কেনা শুধুই সরকারের বিষয় না, এটি মার্কেটবেইজড সিদ্ধান্ত।”
এদিকে, বাণিজ্য সচিব আরও জানান, আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই ওয়াশিংটনে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)-এর অফিসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৃতীয় এবং চূড়ান্ত শুল্ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
“গত ২৩ জুলাই আমরা আমাদের অবস্থানপত্র দিয়েছি। এখন সরাসরি আলোচনা হবে। প্রতিনিধি দলে থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি খলিলুর রহমান এবং আমি নিজেও যাচ্ছি,” বলেন মাহবুবুর রহমান।
সয়াবিন ও তুলা আমদানি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সচিব বলেন, “সয়াবিন আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করবে। আমরা আশা করছি, এই খাতে একটি সমঝোতা হবে। তুলার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, তিন বছর আগে বাংলাদেশ বছরে ১.৮ বিলিয়ন ডলারের তুলা আমদানি করত। এখন তা কমে গেছে। আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারলে একাই ১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।
এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।