
স্বস্তিকা দত্ত
পশ্চিমবঙ্গের এ সময়ের আলোচিত তরুণ অভিনেত্রীদের একজন স্বস্তিকা দত্ত। অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল–এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পর এবার তিনি কাজ করছেন ত্রিকোণ প্রেমের গল্পভিত্তিক সিনেমা খুঁজেছি তোকে রাত বেরাতে–তে। তাঁর বিপরীতে আছেন দুই জনপ্রিয় অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী ও অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। নতুন ছবির শুটিং শুরুর আগে আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা কথা বলেছেন তাঁর ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত দর্শন নিয়ে।
অভিনয়ে বৈচিত্র্যের খোঁজে
১৪ বছরের অভিনয়জীবনে নানা চরিত্রে কাজ করেছেন স্বস্তিকা। তাঁর মতে, দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে হলে চরিত্র বাছাইয়ে সচেতন হতে হয়। তবে তিনি কখনো অতিরিক্ত হিসাব–নিকাশ করেননি:
“বেশি বাছাবাছি করলে কাজই পাব না। চেষ্টা করেছি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। আর যদি চরিত্রটা নায়িকাকেন্দ্রিক হয়, তবে তো আরও ভালো।”
ছোট পর্দায় নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয় হলেও বড় পর্দায় তিনি সমানভাবে আলোচনায় এসেছেন খলনায়িকা চরিত্রে। অরিত্রর ফাটাফাটি ছবিতে তাঁর ‘বিকি সেন’ চরিত্র দর্শককে ক্ষুব্ধ করলেও আকর্ষণও তৈরি করেছিল। তাই একঘেয়ে চরিত্রে কাজ করতে স্বস্তিকা আগ্রহী নন।
খোলামেলা পোশাক ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে মত
টালিউডে অনেকেই মনে করেন, নায়িকাদের টিকে থাকতে হলে খোলামেলা পোশাক ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়। অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য ও শ্রুতি দাস যেখানে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তাঁরা খোলামেলা পোশাকে স্বচ্ছন্দ নন, সেখানে স্বস্তিকার অবস্থান আলাদা।
তিনি খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয়ের পক্ষে, তবে শর্ত সাপেক্ষে:
“মিমি চক্রবর্তীকে রক্তবীজ ২–এ বিকিনিতে দেখেছেন। নিজেকে তৈরি করে তবেই ওই দৃশ্যে রাজি হয়েছেন মিমিদি। আমিও তাই করব। আগে নিজেকে ফিট করব, তারপর চিত্রনাট্যে দৃশ্যের প্রয়োজনীয়তা বুঝে সিদ্ধান্ত নেব।”
অর্থাৎ, ঘনিষ্ঠ বা খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করতে হলে আগে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করাই তাঁর মূল শর্ত।