
গোলাম রাব্বানী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীসহ তিনজনের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তিতে জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট তাদের এমফিল ভর্তি সাময়িকভাবে বাতিল করেছে।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত
গত ৪ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে প্রতিবেদন পাঠ করে শোনানো হলে তিনজনের ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ভর্তি বাতিলের বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
জিএস পদও অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ
তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, বৈধ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে গোলাম রাব্বানীর ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতা বৈধ ছিল না। ফলে তার জিএস পদে নির্বাচিত হওয়াও অবৈধ। এ বিষয়ে স্পষ্ট সুপারিশ করেছে কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদন
উপাচার্যের নির্দেশে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ মেলে। এর মধ্যে ছিল—
-
ভোটকেন্দ্রে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ঢুকতে না দেওয়া,
-
ভোটকেন্দ্র দখল করা,
-
কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি,
-
ব্যালট পেপারে অবৈধ সিল মারা,
-
ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন,
-
অবৈধ ভর্তি হয়ে প্রার্থী হওয়া ইত্যাদি।
ক্রিমিনোলজি বিভাগের গোলাম রাব্বানী, মেহজাবিন হক ও ফাহমিদা তাসনিম অনির এমফিল ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অবৈধভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে কমিটি।
পরবর্তী করণীয়
তদন্ত কমিটির বাকি সুপারিশ বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণের জন্য আইন উপদেষ্টাকে মতামত দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে।