
ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের উপায় জানালেন চিকিৎসক
ব্যস্ত নগরজীবনে হৃদরোগের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কম শারীরিক কার্যকলাপ ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এখন চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতন জীবনযাপনের অংশ হওয়া জরুরি। হেলথলাইন
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তে দুটি ধরনের কোলেস্টেরল থাকে-
- এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল): রক্তনালিতে জমে ব্লক তৈরি করে।
- এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল): রক্তনালী থেকে খারাপ কোলেস্টেরল সরিয়ে ঝুঁকি কমায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকদের পরামর্শ
- মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট খান: জলপাই তেল, বাদাম, অ্যাভোকাডো, ক্যানোলা তেল খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ও ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
- পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ করুন: স্যামন, টুনা, ম্যাকারেলসহ ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
- ট্রান্স ফ্যাট সীমিত করুন: মার্জারিন, বেকারি পণ্য, ফাস্টফুড ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটা বা দৌড়ানোর মতো এ্যারোবিক ব্যায়াম এলডিএল কমিয়ে এইচডিএল বাড়ায়।
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: ওজন নিয়ন্ত্রণে আনলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়।
- ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপান এইচডিএল কমিয়ে এলডিএল বাড়ায় এবং রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত করে।
- প্ল্যান্ট স্টেরল ও স্ট্যানল গ্রহণ করুন: প্রতিদিন ১.৫–৩ গ্রাম গ্রহণে এলডিএল ৭.৫–১২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান পরিহার ও প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে ওষুধ ছাড়াই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এতে শুধু হার্ট নয়, সার্বিক সুস্থতাও নিশ্চিত হয়।