
তেলআবিব লক্ষ্য করে হুতিদের ক্লাস্টার বোমা হামলা
দখলদার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব লক্ষ্য করে ক্লাস্টার বোমাবাহী মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ হামলার চেষ্টা চালানো হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, আঘাত হানার আগেই মিসাইলটি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটিতে সত্যিই ক্লাস্টার বোমা ছিল কি না—সে বিষয়ে আইডিএফ কোনো মন্তব্য করেনি।
আতঙ্কিত তেলআবিববাসী
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তেলআবিব ও আশপাশের অঞ্চলে হঠাৎ সাইরেন বাজতে শুরু করে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে। তবে হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ধারাবাহিক হামলার অংশ
গত কয়েকদিনে ইসরায়েলের দিকে একাধিকবার মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে হুতিরা। এগুলোর অনেকগুলোতেই ক্লাস্টার বোমা বহনের অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে এক হুতি ড্রোন ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে আঘাত হানে।
প্রতিশোধে ইয়েমেনে তাণ্ডব
এ হামলার পরপরই ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ বোমা বর্ষণ চালায়। এতে অন্তত ৩৫ ইয়েমেনি নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিল। এর আগের একটি হামলায় হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ ১২ মন্ত্রী নিহত হন।
হুতিদের অবস্থান
হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসছে হুতিরা। তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপও ব্যর্থ
লোহিত সাগরে হুতিদের এই অবরোধ ভাঙতে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। কিন্তু হুতিদের থামানো যায়নি। বরং তারা ইসরায়েলবিরোধী হামলা আরও জোরদার করেছে।