
ফিক্সিং কাণ্ডে সাব্বিরকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ বিসিবির আকুর
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পাওয়ার পর শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু)। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে এই সময়টিতে মাঠের সব ধরণের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।
বিতর্কিত আউট ও সন্দেহের জন্ম
গত আসরের ডিপিএলে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে শাইনপুকুরের ম্যাচে শেষ উইকেটে ঘটে বিতর্কিত ঘটনা। জয়ের জন্য যখন মাত্র ৬ রান প্রয়োজন, তখন ক্রিজে থাকা সাব্বির এমনভাবে আউট হন যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়—ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসার পর উইকেটরক্ষক স্টাম্প ভাঙার আগে সাব্বির ব্যাটটি লাইনে ঢুকিয়েও মুহূর্তে সেটি সরিয়ে নেন। ফলে তিনি স্টাম্পিং আউট হন এবং শাইনপুকুরও ম্যাচটি হেরে যায়।
তদন্তে ফিক্সিংয়ের প্রমাণ
ঘটনার পর ক্রিকেটাঙ্গনে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বিসিবি কর্তৃপক্ষও ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার কথা উল্লেখ করে তদন্তে নামে। কয়েক মাসের অনুসন্ধান শেষে আকু ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায় এবং বিসিবিকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ জানায়।
দুর্নীতি রোধে নতুন পদক্ষেপের প্রস্তাব
শুধু শাস্তি নয়, ক্রিকেটে দুর্নীতি ঠেকাতে একাধিক সুপারিশ করেছে আকু। এর মধ্যে রয়েছে—
ড্রেসিংরুমে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অ্যান্টি-করাপশন অফিসারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা
বেটিং মার্কেটের রিয়েল-টাইম মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা
বিসিবি এখনও এই সুপারিশ কার্যকর করবে কি না, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে ক্রিকেটে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল তারা।