
এনআইডি
আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে চার অঙ্গরাজ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডার মায়ামি ও ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এজন্য শিগগিরই কারিগরি ও প্রশাসনিক টিম দেশটিতে পাঠানো হবে। চারটি বাংলাদেশ মিশনে কারিগরি টিমগুলো দূতাবাস কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমদের নেতৃত্বে একটি টিম নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে কাজ করবে। আরেকটি টিম, এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে, মায়ামি ও লস অ্যাঞ্জেলেসে কার্যক্রম তদারকি করবে। আগামী ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, কারিগরি টিমগুলো ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। সব মিলিয়ে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন। ব্যয়ভার বহন করবে স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ-২ প্রকল্প।
বর্তমানে দশটি দেশের ১৭টি স্টেশনে প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভুক্ত করছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপান। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আরও চার দেশে শিগগিরই একই কার্যক্রম চালু হতে পারে।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, অন্তত সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। প্রথমে পাইলটিং, পরে ধাপে ধাপে বড় আকারে বাস্তবায়ন করা হবে।
ইসি জানিয়েছে, বিদেশ থেকে ভোটার হতে প্রবাসীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, ছবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে জমা দিতে হবে। এরপর দেশে তদন্ত সাপেক্ষে তথ্য যাচাই শেষে এনআইডি অনুমোদন করা হবে এবং তা দূতাবাসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, আগামী মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম শুরু হবে। পাশাপাশি ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান ও মালদ্বীপেও একই কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৪০টি দেশে এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। তাদের ধাপে ধাপে ভোটার তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।