ঢাকা,  শনিবার
২১ জুন ২০২৫

Advertisement
Advertisement

হারিয়ে যাচ্ছে গোশত শুকিয়ে রাখার সংস্কৃতি

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ২৯ জুন ২০২৩

আপডেট: ১৭:৪৪, ২৯ জুন ২০২৩

হারিয়ে যাচ্ছে গোশত শুকিয়ে রাখার সংস্কৃতি

কুরবানির ঈদে পশু জবাই, গোশত কাটা এবং বিতরণ এটিই প্রধান উৎসব। গোশত বিতরণের পর যা থেকে যায় তা সংরক্ষণ করা যায় বিভিন্নভাবে। যখন ফ্রিজের প্রচলন খুব কম ছিল তখন ঘরোয়া নানাভাবে এই গোশত সংরক্ষণ করা হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেসব প্রচলন সব হারিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমান আধুনিক জীবনে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমাদের জীবনযাপনেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এখন গোশত সংরক্ষণ করার জন্য একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে ফ্রিজ। কিন্তু ফ্রিজিং ছাড়াও আরও কিছু পদ্ধতিতে গোশত সংরক্ষণ করা যায়। যেমন, আগে যখন ফ্রিজ ছিল না তখন গ্রামের নারীরা রোদে শুকিয়ে মাংস সংরক্ষণ করতেন। মাংসের টুকরো সুতোয় গেঁথে রোদে শুকিয়ে তা দীর্ঘ দিন মজুত রাখতেন। এই সেই পদ্ধতি প্রায় হারাতে বসেছে। তারপরও এখনো কিছু এলাকায় স্বল্প পরিমাণ মাংস রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে দেখা যায়।

ঐতিহ্যগতভাবে মাংস সংরক্ষণ

হাড় চর্বি ছাড়িয়ে গোশত ছোট ছোট টুকরো করে লবণ হলুদ দিয়ে প্রথমে সিদ্ধ করতে হয়। পরে গোশতের পানি ঝড়িয়ে আবারও হলুদ লবণ মিশিয়ে সুই দিয়ে লম্বা সুতায় গেঁথে রোদে শুকানো হয়। এছাড়া বড় চালুনিতেও মাংস রেখে শুকানো যায়। এভাবে চার থেকে পাঁচদিন প্রখর রোদে শুকানোর পর গোশত সংরক্ষণের উপযোগী হয়ে যায়। পরে শুকনা গোশত প্লাস্টিকের বয়ামে অথবা ফ্রিজে রেখেও সংরক্ষণ করা যায়। তবে, প্লাস্টিকের বয়ামের রাখলে গোশত ‍দুই থেকে তিন মাস পর বের করে ফের শুকাতে দিতে হয়। তা না করলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবে এক বছরেরও বেশি সময় মাংস সংরক্ষণ করা যায়।

আরও পড়ুন: খুব সহজে দ্রুত মাংস সেদ্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়

                      সুস্থতা আর অসুস্থতা বুঝেই মাংস খাওয়া

Advertisement
Advertisement

আরো পড়ুন  


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531