ঢাকা,  শুক্রবার
১৩ জুন ২০২৫

Advertisement
Advertisement

মাসল ক্র্যাম্প: ঘুমের সময় বা পরিশ্রমের পর হঠাৎ টান লাগার পেছনের কারণ ও করণীয়

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ১২ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৭:৩২, ১২ জুন ২০২৫

মাসল ক্র্যাম্প: ঘুমের সময় বা পরিশ্রমের পর হঠাৎ টান লাগার পেছনের কারণ ও করণীয়

মাসল ক্র্যাম্প

ঘুমের সময় কিংবা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের পর অনেকেই হঠাৎ করে পায়ের পেশিতে টান বা মাসল ক্র্যাম্পের শিকার হন। এ সমস্যার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা, পানিশূন্যতা, স্নায়বিক সমস্যা, দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে থাকা কিংবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই এর অন্যতম কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক ইতিহাস ও মূল্যায়নের মাধ্যমে এর উৎস খুঁজে বের করাই চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি।

? চিকিৎসকের জন্য যেসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি:

  • কখন টান লাগে—দিনে, নাকি রাতে?

  • কতক্ষণ স্থায়ী হয়?

  • কোন পেশিতে হয়?

  • কোনো ওষুধ নিচ্ছেন কি না (যেমন: ডাইউরেটিক্স, স্ট্যাটিন)?

  • পানি ও লবণের ভারসাম্য ঠিক আছে কি না?

  • ডায়াবেটিস, নিউরোপ্যাথি বা অন্যান্য রোগ আছে কি না?

প্রতিরোধে করণীয়:

১. জীবনযাপন ও ঘুমের ভঙ্গি ঠিক রাখা:

  • ঘুমানোর সময় পায়ের পাতা যেন ডরসিফ্লেক্সড থাকে (আঙুল ওপরের দিকে)।

  • বালিশ দিয়ে পা সামান্য উঁচু করে রাখা যেতে পারে।

  • দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে না থাকা, হাঁটাচলা করা।

  • হাই হিল ও টাইট জুতা পরা এড়ানো।

২. নিয়মিত স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম:

  • কাফ স্ট্রেচ, হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ, প্ল্যান্টার ফ্যাশা স্ট্রেচ নিয়মিত করুন ঘুমানোর আগে।

৩. হঠাৎ টান লাগলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা:

  • আক্রান্ত পেশিকে ধীরে ধীরে স্ট্রেচ করুন।

  • পায়ের আঙুল টেনে ধরুন, গোড়ালি মাটিতে রেখে পায়ের তালু ওপরে তুলুন।

৪. পানিশূন্যতা ও লবণ ঘাটতি প্রতিরোধ:

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন, বিশেষত গরমের দিনে।

  • পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান (যেমন কলা, দুধ, ডাবের পানি)।

৫. প্রয়োজনে ওষুধ ও চিকিৎসা:

  • উপসর্গ অব্যাহত থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে কুইনাইন, ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট বা নিউরোপ্যাথিক ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।

  • ডায়াবেটিস ও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

৬. ফিজিওথেরাপি ও থেরাপিউটিক পরামর্শ:

  • প্রয়োজনে টেনস থেরাপি, ট্রিগার পয়েন্ট রিলিজ বা ফাংশনাল ব্রেইস ব্যবহার করুন।

  • স্ট্রেনদেনিং ব্যায়াম ও পজিশন পরিবর্তনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

মাসল ক্র্যাম্পকে হালকা সমস্যা মনে করে অবহেলা না করে, এর পেছনের কারণ খুঁজে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। নিয়মিত স্ট্রেচিং, সঠিক জীবনধারা ও পরিমিত পানি গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

Advertisement
Advertisement

আরো পড়ুন  


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531