
ইসরায়েলে আগুন
ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। সোমবার (১৬ জুন) দেওয়া এক বিবৃতিতে গার্ড বাহিনী জানায়, তারা ইসরায়েলের একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদের একটি পরিকল্পনা পরিচালনাকেন্দ্রে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে।
তেহরানভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আইআরজিসি বলেছে, “এই হামলা ছিল আমাদের শহীদদের রক্তের প্রতিশোধ এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের সরাসরি জবাব। আমরা লক্ষ্য করেছি এমনসব স্থাপনা, যেখান থেকে ইরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।”
ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া:
ইসরায়েলের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর হেরজলিয়ায় একটি ‘সংবেদনশীল স্থানে’ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে এবং এতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়।
‘সংবেদনশীল স্থান’ বলতে সাধারণত সামরিক ঘাঁটি, গোয়েন্দা কেন্দ্র বা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থাপনাকে বোঝায়।
যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে:
চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নতুন মাত্রা পাচ্ছে। এবার উভয় পক্ষ সরাসরি একে অপরের গভীর অভ্যন্তরে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা এই অঞ্চলে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আইআরজিসির মতো শক্তিশালী বাহিনী যখন সরাসরি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং তা লক্ষ্যভিত্তিকভাবে সামরিক-গোয়েন্দা স্থাপনাকে কেন্দ্র করে, তখন বিষয়টি আর সীমিত পাল্লার পাল্টাপাল্টি নয়, বরং এটি বৃহত্তর সংঘাতের ইঙ্গিত।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ:
বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখ এখন মধ্যপ্রাচ্যে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানালেও বাস্তবে সংঘাতের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রত্যক্ষ জড়িততা এই যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত ও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে।