
কৃত্রিম চিনি বা স্যাকারিন খাদ্য বা পানীয়তে মিষ্টি স্বাদ আনতে কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়েছে। চিনির চেয়ে ৩০০-৫০০ গুণ বেশি মিষ্টি পদার্থ। যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম স্যাকারিন বা বেনজো-সালফিমাইড। কৃত্রিম চিনির আসলে কোনও খাদ্যশক্তি নেই। একে বিকল্প চিনি বলা হয়। আসল চিনির মতো স্বাদ দেয়। তবে এর মিষ্টতা প্রাকৃতিক চিনির চেয়ে অত্যন্ত বেশি।
স্বাস্থ্যের জন্য কৃত্রিম চিনি যে ক্ষতিকর তা বিভিন্ন সময়ে গবেষকরা বলেছেন। সম্প্রতি কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহারের বিরুদ্ধে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কৃত্রিম চিনির ক্ষতিকর দিকগুলো আসুন জেনে নেওয়া যাক
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি বা ‘প্রি-ডায়াবেটিক কন্ডিশন’র ক্ষেত্রে অনেক সময় ডাক্তার কৃত্রিম চিনি খেতে বলেন। তা ছাড়া পৃথিবীতে চা, দই, মিষ্টি, ডেজার্ট, কেকসহ বিভিন্ন ধরণের খাবারে কৃত্রিম চিনির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। এসব খাবার হরহামেশাই আমরা খাচ্ছি।
রক্তে শর্করার পরিমাণ না বাড়িয়ে এবং ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে মিষ্টি স্বাদ বজায় রাখতে খাদ্যে কৃত্রিম চিনির ব্যবহার চালু। অথচ গবেষণা বলছে, যে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এটা চালু হয়েছিল সেই রোগের ঝুঁকিই বাড়াতে পারে কৃত্রিম চিনি।
কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কৃত্রিম চিনি গ্রহণে অনেকের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ কার্ডিওভাসকুলার, সেরিব্রোভাসকুলারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কৃত্রিম চিনিতে বিদ্যমান ‘এরিথ্রিটল’ নামের যৌগটি রক্ত জমাট বাঁধা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকসহ মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
ক্ষুধা বৃদ্ধি
গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করা খাবার ও পানীয় আমাদের ক্ষুধা বাড়ানোর পাশাপাশি চিনি গ্রহণের ইচ্ছাও বাড়ায়। অথচ ক্ষুধা বৃদ্ধি একটি স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম চিনি বা স্যাকারিন ব্যবহারের সঙ্গে মূত্রাশয় ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে।
অন্যান্য
গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কৃত্রিম মিষ্টি মানুষের মধ্যে বিষন্নতা সৃষ্টি করে ও মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।