
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
আগামী ১ জুলাই ২০২৫ থেকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ভিত্তিতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সোমবার (২৩ জুন) এই বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বিশেষ সুবিধার বিবরণ:
-
গ্রেড-৯ ও তদূর্ধ্বে থাকা শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ১০% হারে এই সুবিধা পাবেন।
-
গ্রেড-১০ ও তদনিম্ন শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সুবিধার হার ১৫%, তবে তা ন্যূনতম ১,৫০০ টাকা হতে হবে।
প্রেক্ষাপট:
এর আগেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একই ধরনের সুবিধা ঘোষণা করা হয়। ২ জুন উপস্থাপিত বাজেটে বলা হয়েছিল, প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মীরা ১০% এবং দশম থেকে বিশতম গ্রেডের কর্মীরা ১৫% হারে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। সর্বনিম্ন পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ১,০০০ টাকা (চাকরিজীবীদের জন্য) এবং ৫০০ টাকা (পেনশনভোগীদের জন্য)।
পরে ৩ জুনের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই সুবিধা অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা (PRL), বরখাস্তকৃত (শেষ মূল বেতনের ৫০%) ও কিছু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তবে যারা বিনা বেতনে ছুটিতে আছেন বা পুরো পেনশন এককালীন তুলে নিয়েছেন, তারা এই সুবিধার বাইরে থাকবেন।
এমপিওভুক্তদের জন্য এই সুবিধার গুরুত্ব:
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি বেতন স্কেলের আওতায় না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সমমানের সুযোগ-সুবিধার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। নতুন এ সিদ্ধান্তে তাঁদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের একটি আশাব্যঞ্জক ধাপ তৈরি হলো।
কালো টাকা বিষয়ে নির্দেশনা:
এ ছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কালো টাকা বৈধ করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। অর্থাৎ এবার বাজেটে অঘোষিত আয় বৈধ করার পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে।
এমপিওভুক্ত ও অন্যান্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য এই ঘোষণাটি একটি বড় ইতিবাচক বার্তা হিসেবে ধরা পড়েছে, যা তাঁদের বেতন কাঠামোয় বাস্তবসম্মত পরিবর্তন আনবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।