
জোহরান মামদানি
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন প্রগতিশীল রাজনীতিক জোহরান মামদানি। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর মতো প্রভাবশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে তিনি এখন ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী।
মামদানি শুধু নীতি নয়, আদর্শের লড়াই লড়েছেন। তিনি গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বরাবরই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বীরা ও কিছু গণমাধ্যম তাঁর এই অবস্থান নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলেও, মামদানি একচুলও পিছু হটেননি।
মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে মামদানি চান—
-
নগর কর্তৃপক্ষের মালিকানায় মুদিদোকান চালু,
-
বাসভাড়া সম্পূর্ণ মওকুফ,
-
ভর্তুকিপ্রাপ্ত ভাড়াটেদের জন্য বাড়িভাড়া বৃদ্ধি স্থগিত,
-
এবং আরও বেশি আবাসন নির্মাণ।
৩৩ বছর বয়সী এই তরুণ রাজনীতিক ডিজিটাল প্রচার কৌশল ও তৃণমূল পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করেছেন। ভাইরাল ভিডিও, রাস্তায় রাস্তায় প্রচার এবং ট্রাম্পপন্থী হতাশ মানুষদের সাথেও সংলাপের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব জনভিত্তি।
সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের অধ্যাপক হিবা গোয়ায়েদ মনে করেন, মামদানির ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ছিল তাঁর প্রচারের প্রাণ। তিনি বলেন, “যদি মামদানি নিজ অবস্থান থেকে পিছু হটতেন, তবে সমর্থকদের আস্থা হারাতেন। কিন্তু তাঁর নৈতিক দৃঢ়তা তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে।”
জাস্টিস ডেমোক্র্যাটসের মুখপাত্র উসামা আন্দ্রাবি বলেন, “এটি দেখিয়ে দিল—ফিলিস্তিনের অধিকারে দৃঢ় অবস্থান নিয়েও আমেরিকান রাজনীতিতে জয়ী হওয়া সম্ভব।”
ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি নিউইয়র্কে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিসেবে মামদানির জয় এখন প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরা হচ্ছে। তাঁর উত্থান আমেরিকার প্রগতিশীল রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।