টি-শার্ট শব্দটি হয়েছে শার্টে আকৃতি যখন ইংরেজি অক্ষর T থেকে। এর আকার, ডিজাইন, রং, মুদ্রণ সব কিছু মিলে শার্ট থেকে আলাদা একটি বৈশিষ্ট্যের নাম হলো টি-শার্ট।
টি-শার্ট শুধু নিজ দেশে নয়, এটি বাহিরের অন্যান্য বিখ্যাত দেশগুলোতে একই চাহিদা রয়েছে। এটির চাহিদার সাথে বাজার মূল্যেরও অনেক মিল রয়েছে। একটি পরিসংখ্যানগত হিসাব অনুসারে দেখা যায় ২০২১ সালে টি-শার্টের বাজার বিক্রি মূল্য ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২২ সালে ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যা কিনা অন্যান্য পোশাকের তুলনায় অনেক বেশি চাহিদার পরিমাণ নির্দেশ করে। টি-শার্ট সকল ভৌগোলিক অবস্থান, পরিবেশ, ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সমাজ, রাষ্ট্র সবার জন্য এক কমন পোশাকে পরিণত হলো।
টি-শার্টের শুরুর দিকের গল্পঃ টি-শার্ট পোশাক হিসেবে প্রচারের অসাধারণ হাতিয়ার হয়ে ওঠার রোমাঞ্চকর ইতিহাসের গল্প রয়েছে। ইতিহাস অনুসারে, ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী তাদের আনুষ্ঠানিক পোশাকের ভেতরে পরিধানের জন্য হালকা সাদা কটনের গেঞ্জি যুক্ত করে। অবশ্য ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের শৌখিন বক্সার ও দাঁড় টানিয়েরা একই রকম গেঞ্জি পরিধান করতেন। তখন থেকে টি-শার্টের সঙ্গে মানুষ সম্পর্ক বাড়তে থাকে। তবে বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে ‘টি-শার্ট’ শব্দটির সঙ্গে বিশ্বের প্রথম পরিচিতি ঘটে ১৯২০ সালে। এফ স্কট ফিটজগেরল্ডের লেখা ‘দিজ সাইড অব দ্য পেরাডাইজ’ উপন্যাসে প্রথম এই শব্দজোট ব্যবহার হয়। একই বছর শব্দটি ‘মেরিয়াম-ওয়েবস্টার ডিকশনারি’ তে যুক্ত হয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে টি-শার্ট পৃথিবীতে এভাবে আসলো।
আরও পড়ুন: চোখের পাতা কাঁপে কেন? জানুন আসল কারণ!
টি-শার্টের জনপ্রিয় হওয়ার গল্পঃ
সালটি হলো ১৯৩৮, আমেরিকার চেইন শপ সিয়ার্স নতুন এক ধরনের টি-শার্ট বাজারজাত করে, যেটি ছিল গতানুগতিক টি-শার্টের চেয়ে ভিন্ন। বর্তমানে আমরা যে টি-শার্ট দেখতে পাই, সিয়ার্সের টি-শার্ট ছিল অনেকটা সেরকমই। তখনকার সময়ে এটিকে একইভাবে অন্তর্বাস হিসেবেই ব্যবহার করতো, আবার একটি পূর্ণাঙ্গ পোশাক হিসেবেও পরিধান করা হতো। তখন এটির নাম দেওয়া হলো গব শার্ট।
তবে অনেকের মতে এটি টি-শার্টের বাহিরের একটি পোশাক ছিলো। তবে টি-শার্টকে একটি নতুনত্ব পোশাক মনে করে হলিউড পোশাকটির ব্রান্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর হলিউডের ঐ মুভিটা 'এ স্ট্রিট কার নেইমড ডিজায়ার' সিনেমায় তৎকালীন জনপ্রিয় অভিনেতা মার্লন ব্র্যান্ডো এই পোশাকটি পরেই অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে এটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর এভাবে করে ট্রি-শার্টের নাম সবাই বলতেছে আর কোম্পানিরা তৈরি করাও শুরু করতেছে।
আরও পড়ুন: আক্কেল দাঁত তুলে ফেলবেন নাকি রাখবেন?
টি-শার্টের চাহিদাঃ
টি-শার্ট কোনো নিদিষ্ট গন্ডির মধ্য এখন সীমাবদ্ধ নেই। পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ এটিকে এখন ফ্যাশন হিসেবে ধরে নিয়েছে এবংকি অনেক রাজনীতিবিদও এটি ব্যবহার করে তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কাজ করে থাকে। এটি সকল শ্রেণির মানুষের জন্য তৈরি হয় বলে এটি সহজে যেকোনো স্থানে ক্রয় করার জন্য পাওয়া যায়। তাই এটি অতি দ্রুত মানুষের মনের ছোট্ট কোণে জায়গা করে নিলো অতি দ্রুত।