
বিক্ষোভ
ঘটনাস্থল: গোপালগঞ্জ পৌর পার্ক ও শহরের বিভিন্ন এলাকা
সময়কাল: বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
সময়: দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে
নিহত: ৪ জন (প্রত্যাশিত সংখ্যা বাড়তে পারে)
আহত: অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
? কী ঘটেছে?
গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)'র পূর্বঘোষিত রাজনৈতিক সমাবেশে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ শেষে চৌরঙ্গী মোড়ে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একদল ব্যক্তি হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে:
-
দীপ্ত সাহা (২৫) – শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা, স্থানীয় ব্যবসায়ী
-
রমজান কাজী (১৮) – কোটালীপাড়ার বাসিন্দা, একজন ছাত্র
হাসপাতালে ভর্তি ৯ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের অধিকাংশ গুলিবিদ্ধ।
? প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বর্ণনা
-
দীপ্ত সাহার চাচা জানান, দীপ্ত দুপুরে দোকানে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন।
-
রমজান কাজীর পিতা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলেটা তো কোনো দোষ করেনি। তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হলো।”
⚠️ সংঘর্ষের আগে কী হয়েছিল?
-
সমাবেশ শুরুর আগেই ২০০-৩০০ ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে পার্ক এলাকায় জড়ো হন।
-
পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও তারা প্রথমে আদালত চত্বর ও আশপাশে অবস্থান নেয়।
-
পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
-
মঞ্চে চেয়ার ভাঙচুর, ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনাও ঘটে।
-
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ২টা ৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে পৌঁছে সমাবেশ সম্পন্ন করেন।
-
সমাবেশ শেষে দলটি সরে যাওয়ার সময় আবার হামলা হয়।
?️ এনসিপির অভিযোগ
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক, অভিযোগ করেন:
“এই হামলায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা জড়িত। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছিল পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। আমাদের বলা হয়েছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা ছিল না।”
? প্রশাসনের ভূমিকা
-
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. গোলাম কবির কারো মোবাইলে যোগাযোগ করা গেলেও তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
-
একটি লাশ হাসপাতাল থেকে স্বজনরা গোপনে নিয়ে গেছে, যা প্রশ্ন তোলে ঘটনার গুরুত্ব ও প্রশাসনের প্রস্তুতির ওপর।
? রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও নতুন উত্তেজনা
এনসিপির জনপ্রিয়তা সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে এই হামলা:
-
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিপীড়ন ও দমননীতির প্রতিফলন, বলছে এনসিপি
-
বিরোধী দলগুলো এটিকে গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের ওপর হামলা বলে চিহ্নিত করছে