কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে বিতর্কিত সুযোগ রাখা হয়েছিল, তা বাতিল করেছে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। ফলে বাড়তি কর দিয়ে অবৈধ অর্থ বৈধ করার সুযোগ আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

রোববার (২২ জুন) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়তি কর পরিশোধের মাধ্যমে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি ও দাবির ভিত্তিতে সেই বিধান বাতিল করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে অবৈধ উপার্জনের অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা রক্ষা করা সম্ভব হবে।

অপরদিকে, সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে। তিনি বলেন, “সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা করা হয়েছে, যা প্রস্তাবিত ৮১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার তুলনায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি।”

তিনি আরও জানান, নতুন অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এই বাজেটকে ‘মানবিক ও বাস্তবভিত্তিক’ উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার এবং আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

এ সিদ্ধান্তে সরকার একদিকে যেমন কালো টাকা বৈধকরণের বিতর্কিত ধারার অবসান ঘটালো, অন্যদিকে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা জাল আরও বিস্তৃত করল।