নারী-পুরুষ উভয়েরই অমূল্য সম্পদ তাদের দুটি চোখ। এই চোখ দিয়েই আমরা দেখি রঙিন এই দুনিয়ার নানা দৃশ্য। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই মূল্যবান চোখ হঠাৎই অজানা কারণে কেঁপে ওঠে কেন? আর যদি চোখ কেঁপে বা লাফিয়ে ওঠে তবে এর ফলাফলই বা কী?
আবার এ বিষয়কে অনেকেই অশুভ বা খারাপ কোনো লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলছে?
চোখের পাতা কাঁপা বা লাফানোর পিছনে ৭টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ রয়েছে। তা হল,
১। মানসিক চাপ: কোনও কঠিন মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে গেল শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
২। ক্লান্তি: পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোনও কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারে। এর জন্য দরকার ঘুম। তাহলেই ঠিক সেরে যাবে।
৩। দৃষ্টি সমস্যা: দৃষ্টিগত কোনও সমস্যা থাকলে চোখের উপর চাপ পড়ে। অনেকক্ষণ ধরে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৪। ক্যাফিন এবং এ্যালকোহল: অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যাফিন এবং এ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারে। তাই এইসব বর্জন করাই শ্রেয়।
৫। চোখের শুষ্কতা: কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অতিরিক্ত এ্যালকোহলের প্রভাব, চোখে কন্ট্যাক্ট ল্যান্স ঠিকমতো না বসানো কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখের মধ্যেকার নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতার কারণে চোখের পাতা লাফায় বলে চক্ষু চিকিৎসকরা মনে করেন।
৬। পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা: পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকেও চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়।।বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত কারণে এমনটি হতে পারে।
৭। এলার্জি: যাঁদের চোখে এলার্জি আছে, তাঁরা অনবরত চোখ চুলকান।ফলে চোখের জলের সঙ্গে হিস্টামিনও নির্গত হয়। এর কারণে চোখ কাঁপে বলে অনেকেই মনে করেন।