
নবজাতক
নবজাতকের চোখ থেকে পানি বা পুঁজ পড়া সাধারণ ঘটনা হলেও এর পেছনে থাকতে পারে জটিল রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। না হলে পরিস্থিতি জটিল আকার নিতে পারে। এ ধরনের সমস্যার জন্য প্রধানত দুটি রোগ দায়ী—কনজেনিটাল ন্যাসোলেক্রিমাল ডাক্ট অবস্ট্রাকশন এবং নিওন্যাটাল কনজাংটিভাইটিস।
কনজেনিটাল ন্যাসোলেক্রিমাল ডাক্ট অবস্ট্রাকশন
জন্মের সময় চোখের পানি নাকের ভেতরে যাওয়ার স্বাভাবিক নালিপথ (নেত্রনালি) পুরোপুরি খোলা না থাকলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
উপসর্গ
-
চোখে বারবার পানি আসা
-
চোখের কোনায় সাদা স্রাব বা পুঁজ জমা হওয়া
-
চোখের পাপড়ি ভিজে যাওয়া
-
চোখ লাল হয়ে যাওয়া
করণীয়
-
সাধারণত এক বছরের মধ্যে সমস্যা নিজে থেকেই সেরে যায়।
-
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ভেতরের কোনায় ওপর থেকে নিচের দিকে দিনে ৮–১০ বার হালকা চাপ দিয়ে মালিশ করতে হয়।
-
ভেজা, পরিষ্কার কাপড় বা জীবাণুমুক্ত তুলা দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে।
-
চোখ লাল হলে বা সংক্রমণ দেখা দিলে চিকিৎসকের দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
-
এক বছর পরও না সেরে উঠলে চিকিৎসক নালি ছিদ্র বা প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করতে পারেন।
নিওন্যাটাল কনজাংটিভাইটিস (জন্মের পর চোখ ওঠা)
শিশুর জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে চোখে সংক্রমণ হলে একে বলা হয় নিওন্যাটাল কনজাংটিভাইটিস বা অফথ্যালমিয়া নিওন্যাটোরাম। এটি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে এবং অবহেলা করলে গুরুতর জটিলতা তৈরি হতে পারে।
উপসর্গ
-
চোখ লাল হয়ে যাওয়া
-
চোখ ফুলে যাওয়া
-
প্রচুর পানি ও ময়লা আসা
-
গুরুতর অবস্থায় কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দাগ পড়া এবং অন্ধত্বের ঝুঁকি
করণীয়
-
এটি জরুরি অবস্থা, অবহেলা করা যাবে না।
-
দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞ বা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে।
-
চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
-
ফুটানো ঠান্ডা পানি বা জীবাণুমুক্ত স্যালাইন দিয়ে চোখ মুছে দিতে হবে।