
হার্ট অ্যাটাক
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির সঙ্গে বয়স, ওজন, পেটে জমা হওয়া চর্বি, রক্তচাপ, রক্তের চর্বি, ডায়াবেটিস ও ধূমপানের মতো বিষয়গুলো সরাসরি সম্পর্কিত। এসব সূচক পর্যবেক্ষণ করলে ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে কার কোন পরীক্ষা প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করবেন চিকিৎসক।
জীবনধারা ও পারিবারিক ইতিহাস
-
সাধারণত ৪০ বছরের আগে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তুলনামূলক কম।
-
মেনোপজের আগে নারীদের ঝুঁকিও কম থাকে।
-
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এবং পারিবারিক ইতিহাস ঝুঁকি বাড়ায়।
-
ঝুঁকি কমাতে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধাঁচের শরীরচর্চা বা ৭৫ মিনিট ভারী ব্যায়াম আবশ্যক।
ওজন
-
উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওজন রাখা জরুরি।
-
বিএমআই (BMI) দিয়ে ওজন ঠিক আছে কিনা তা জানা যায়।
পেটে জমা মেদ
-
শুধু ওজন স্বাভাবিক থাকলেই ঝুঁকি কমে না।
-
কোমরের মাপ পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৫.৫ ইঞ্চি বা নারীদের ক্ষেত্রে ৩১.৫ ইঞ্চির বেশি হলে ঝুঁকি বাড়ে।
-
কোমর-নিতম্ব অনুপাত পুরুষদের জন্য ০.৯৫-এর বেশি, নারীদের জন্য ০.৮৫-এর বেশি হলে ঝুঁকি বাড়ে।
রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তের চর্বি
-
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা রক্তের চর্বি বেড়ে গেলেও অনেক সময় উপসর্গ থাকে না।
-
নিয়মিত রক্তচাপ মাপা উচিত।
-
বয়স ৪০-এর পর প্রতিবছর ডায়াবেটিস পরীক্ষা (খালি পেটে ও গ্লুকোজ সেবনের পর রক্ত পরীক্ষা) প্রয়োজন।
-
প্রতিবছর লিপিড প্রোফাইল ও এইচবিএওয়ানসি পরীক্ষাও জরুরি।
অনলাইন ক্যালকুলেটর
-
আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির ASCVD Risk Estimator Plus ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে ২০–৭৯ বছর বয়সীরা অনলাইনে ঝুঁকি নির্ণয় করতে পারেন।
বিশেষ পরীক্ষা–নিরীক্ষা
-
চিকিৎসক বিবেচনায় করানো হয়:
-
ইসিজি
-
ইকোকার্ডিওগ্রাম
-
এক্সারসাইজ টলারেন্স টেস্ট (ইটিটি)
-
ডেক্সা স্ক্যান (শরীরের ভেতরে জমা মেদের পরিমাণ জানার জন্য)
-
ভিওটু ম্যাক্স টেস্ট (ব্যায়ামে অক্সিজেন ব্যবহারের সক্ষমতা মাপার জন্য)
-
নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে।