ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা মানুষের পক্ষে খুব কঠিন। তাই অনেকে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেও আবার ধরেছেন সিগারেট নামক এই মরণ নেশা। কোনো একটি নেশায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে সেটি ছাড়তে অনেক কষ্ট হয়। এই নেশাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষকরাও কম গবেষণা করেননি।
সিগারেটের প্যাকেটে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর ভয়াবহ ছবি দেয়া থেকে শুরু করে নানা সতর্ক বাণীও লেখা থাকে। তবুও ধূমপান ছাড়া কঠিন। তারপরও যারা ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ। চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক।
১. দিনে যদি পাঁচ প্যাকেট সিগারেট কিনে থাকেন, তাহলে এক প্যাকেট কিনুন। দিনের যে যে সময়টা সিগারেট খান, ঠিক সেই সময়েই মুখে কয়েকটা মৌরি বা লবঙ্গ দিন। দেখবেন ইচ্ছাটা আর বাড়বে না।
২. নিকোটিনের আসক্তিই সিগারেট খাওয়ার বড় কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার চেয়ে বরং পানি পান করুন। সিগারেট কমিয়ে দিলে শরীরে যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা কমাতে পারে এই পানি। শরীর আর্দ্র থাকে ফলে ধূমপান করতে ইচ্ছা হয় না।
৪. সিগারেট পানের ইচ্ছে হলে সেটি ধরানোর পর পুরোটা না টেনে অর্ধেক ফেলে দেয়ার অভ্যাস করুন। ক্রমশ তা বাড়িয়ে এক চতুর্থাংশ টেনে ফেলে দিন। এভাবে কমাতে থাকুন ধূমপান।
৫. সিগারেট ছাড়ার সময়ে টক জাতীয় ফল খাবেন। লেবু শরীরকে সুস্থ রাখে। ধূমপানের অভ্যাসটিকে ঠেকিয়ে রাখে।
৬. ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেই সময়ে হাতের কাছে নোনতা খাবার রাখুন। ধূমপানের জন্য মন ছটফট করলেই নোনতা খাবার খেয়ে নিন। দেখবেন এতে ধূমপানের ইচ্ছা অনেকটা মিটে যাবে।
৭. ইতিবাচক ভাবনা চিন্তা করুন। যাবতীয় ভালো কাজে মন দিন। একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠুন। শরীর চর্চা করুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।