ঢাকা,  শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪

Advertisement
Advertisement

জিলকদ মাস কেন ফজিলতপূর্ণ, আমল করবেন যেভাবে

দিকদর্পন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ২২ মে ২০২৩

জিলকদ মাস কেন ফজিলতপূর্ণ, আমল করবেন যেভাবে

রজব, শাবান, রমজান ও শাওয়াল টানা এই চার ইবাদতের মাসের পর আসে জিলকদ। এটি হিজরি ক্যালেন্ডারে ১১তম মাস। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজের তিন মাস শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ।

জিলকদের আরবি নাম ‘জুলকাআদাহ’; যার অর্থ বসা, স্থিত হওয়া বা বিশ্রাম নেওয়া। ফার্সি উচ্চারণে ‘জিলকাআদাহ’, উর্দুতে ‘জিলকাআদ’, বাংলায় ‘জিলকদ’।

ঈদুল ফিতর বিগত এবং ঈদুল আজহা সমাগত-মাঝের এই জিলকদ মাসে নির্দিষ্ট কোনও ফরজ (৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ব্যতীত), ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও নফল ইবাদত না থাকায় এটি শরিয়তে বিশ্রামের মাস বলে পরিচিত।

এই সময় প্রাচীন আরবের লোকজন বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত, যুদ্ধবিরতিতে চলে যেত। সে কারণেও এই মাস বিশ্রামের। ঋতুর পরিবর্তনে এই সময়টায় স্থানীয় আরবের লোকজনের হাতে তেমন কোনো কাজ থাকত না। আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এই মাসে যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকত এবং অন্যায়-অপরাধ (মদ্যপান) থেকেও নিবৃত্ত থাকতে সচেষ্ট থাকত। এসব কারণেও এই মাস বিশ্রামের বলে পরিগণিত হয়।

জিলকদ মাসের আগে-পরের মাসগুলোতে বিভিন্ন ফরজ-ওয়াজিব ও গুরুত্বপূর্ণ নফল আমল রয়েছে, জিলকদ মাসে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ব্যতীত অন্য কোনো বিশেষ আমলের কথা কুরআন-হাদিসে আসেনি। ফলে বান্দা এ মাসে কিছুটা বিশ্রামের অবকাশ পেয়ে থাকে পরবর্তী মাসগুলোর গুরুত্বপূর্ণ আমলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের। তাই এ মাসকে জিলকদ বা বিশ্রামের মাস বলা হয়।

তবে জিলকদ মাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিশেষ কোনো আমল না থাকলেও অন্যান্য আমল রয়েছে এবং এ আমল বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই করা মুমিনের কর্তব্য। অন্যান্য চান্দ্রমাসের মতো এ মাসেরও ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখের রোজা (আইয়ামে বিজ) রাখা যায় এবং তা অত্যন্ত ফজিলতের। এ ছাড়া সাপ্তাহিক সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা রাখা সুন্নত।

পাশাপাশি অন্যান্য মাসের সাধারণ নফল নামাজগুলো, তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, তসবিহ-তাহলিল ইত্যাদি পাঠ করা যায়। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। দান-খয়রাত বেশি বেশি করা। 

জিলহজ মাসে কোরবানির প্রস্তুতি উপলক্ষে জিলকদ মাসের শেষে চুল-মোচ ও হাত পায়ের নখ কেটে নেওয়া যেতে পারে। কারণ কোরবানির আগ পর্যন্ত ১০ দিন  চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত বিরত থাকা প্রিয় নবির সুন্নত। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানি দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে, তারা যেন জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কুরবানি সম্পন্ন করা পর্যন্ত নিজ নিজ চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’ (মুসলিম, মিশকাত)

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531