
বাজেট ২৫-২৬
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ও ভোগ্য পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ সোমবার বিকেল তিনটায় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন।
বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্ক ও কর পরিবর্তনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। ফলে কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সাধারণত শুল্ক-কর বাড়লে বাজারে তা দ্রুত প্রভাব ফেললেও, কমার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় নেয়।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী যেসব পণ্যে শুল্ক ও কর হ্রাস করা হয়েছে, তা হলো:
-
চিনি: পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক টনপ্রতি ৫০০ টাকা কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে চিনির দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
-
স্যানিটারি ন্যাপকিন: স্থানীয় পর্যায়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
-
তরল দুধ: প্যাকেটজাত তরল দুধের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
-
কলম: বলপয়েন্ট পেনের ওপরও স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
-
বিদেশি মাছ ও মাংস: স্যামন, টুনা ইত্যাদি বিদেশি মাছ ও মাংসের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে, ফলে দাম কমতে পারে।
-
আইসক্রিম: আইসক্রিমের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
-
কম্পিউটার মনিটর: ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের ওপর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইন্টারেকটিভ মনিটরও এতে অন্তর্ভুক্ত।
-
বাটার: বাটার আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
-
বিদেশি প্লাস্টিকের তৈজসপত্র: এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
-
বিদেশি পোশাক ও জুতা: পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিদেশি পোশাক ও জুতার ওপর সম্পূরক শুল্ক কিছুটা কমানো হয়েছে।
নতুন এই প্রস্তাবনা বাজারে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করবে কার্যকর বাস্তবায়ন ও বাজার তদারকির ওপর।