
ডেঙ্গু
দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বরিশাল বিভাগে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে এডিস মশাবাহিত রোগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৯ জনে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৮৩১ জন।
সর্বশেষ পরিস্থিতি
-
গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) মারা গেছেন ৯ জন।
-
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩ জন।
-
নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪০ জন (পুরুষ ৪৪৪, নারী ২৯৬)।
-
একই সময়ে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮৩ জন।
মৃত্যুর বণ্টন
-
বরিশাল বিভাগে ৫ জন (শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, বরগুনায় ২ জন)।
-
ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩ জন।
-
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জন।
-
চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ১ জন করে।
মৃতদের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিও রয়েছেন।
সংক্রমণের ধরণ
-
আক্রান্তদের মধ্যে সর্বাধিক রোগীর বয়স ২১–৩০ বছর।
-
ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৫৪ জন।
-
ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৭৭ জন।
-
প্রায় ৫০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, অর্থাৎ বেশির ভাগ রোগী একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মন্তব্য
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, “ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন নাজুক। সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে, সে ইঙ্গিত স্পষ্ট। দুর্ভাগ্যজনক হলো, নতুন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না, সবকিছু চলছে গতানুগতিক ধারায়।”
প্রেক্ষাপট
-
২০০০ সালে নতুন করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হলে তা মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক ছিল।
-
ধীরে ধীরে এটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
-
গত বছর থেকে ঢাকার বাইরে ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটেছে।
-
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মশা নিয়ন্ত্রণে কিছু উদ্যোগ থাকলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তা প্রায় অনুপস্থিত।
-
ঢাকার বাইরে অনেক জায়গায় ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোও নেই।