
পিআর পদ্ধতি
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল নিষিদ্ধকরণসহ পাঁচ দফা অভিন্ন দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফতে মজলিস। পৃথক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার দলগুলো একই দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
অভিন্ন দাবি
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন
২. জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতি চালু
৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন–নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার
৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা
কর্মসূচি
-
১৮ সেপ্টেম্বর: ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
-
১৯ সেপ্টেম্বর: দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ
-
২৬ সেপ্টেম্বর: সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল
জামায়াতের অবস্থান
মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ন্যায্য দাবি কার্যকর না হলে গণ–আন্দোলনের বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনের পিআর পদ্ধতি নিয়ে মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানে নির্বাচনের পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা নেই, তাই কমিশনের রোডম্যাপ অন্যায্য।
ইসলামী আন্দোলনের বক্তব্য
রাজধানীতে আলাদা সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তি এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, “বিগত ৫৪ বছরের নির্বাচনী পদ্ধতি দেশকে বারবার পিছিয়ে দিয়েছে, তাই পুরোনো বন্দোবস্তে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়।” ইসলামী দলগুলো একজোট হওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, পরিবেশ অনেকটাই প্রস্তুত।
খেলাফতে মজলিসের দাবি
পল্টনে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরও একই পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তিনি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ অতিরিক্ত একটি দাবি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে। শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষায় জুলাই আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে খেলাফতে মজলিস মাঠে থাকবে।”
তিন ইসলামী দল একই দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিলেও যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা এখনও আসেনি। তবে নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।