
আইএইএ সম্মেলন
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় আজ সোমবার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬৯তম সাধারণ সম্মেলন। চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এ সম্মেলনে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে ইরান।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর আইএইএর পরিদর্শন পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ভিয়েনায় পৌঁছে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি অভিযোগ করেন, আইএইএ ইরান ইস্যুতে নিরপেক্ষ না থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।
ইরানি কর্মকর্তাদের দাবি, প্রস্তাবটি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর চাপ দিচ্ছে এবং সংস্থাটিকে সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছে। তবে উপ-পরমাণু প্রধান বেহরুজ কামালভান্দি মনে করিয়ে দেন, অতীতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও আইএইএ উভয় ক্ষেত্রেই পারমাণবিক স্থাপনা সুরক্ষার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ১৯৮১ সালে ইসরায়েলের ইরাকের ওসিরাক স্থাপনায় হামলাকে নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ ৪৮৭ নম্বর প্রস্তাব গ্রহণ করে।
গত জুনে আইএইএ অনিয়মের অভিযোগ তোলার পরদিনই ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়। ১২ দিনব্যাপী সেই যুদ্ধে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত সপ্তাহে কায়রোতে সমঝোতায় পৌঁছায় ইরান ও আইএইএ। চুক্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রসহ সব স্থাপনায় পরিদর্শন চালানো যাবে, তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে হবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।
তবে ইরানের কট্টরপন্থী সংসদ সদস্যরা এ সমঝোতার বিরোধিতা করছে। তাঁদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত পরিদর্শন নতুন হামলার পথ খুলে দিতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদও জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে বৈরী পদক্ষেপ নিলে—যেমন জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল—তাৎক্ষণিকভাবে পরিদর্শন ব্যবস্থা স্থগিত করা হবে।
অন্যদিকে, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যেই ২০১৫ সালের চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থা সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা কার্যকর হলে জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা পুনরায় জারি হতে পারে।