
‘বালিশ-কাণ্ডে’ শাস্তি: রূপপুর প্রকল্পের দুই প্রকৌশলীকে গুরুদণ্ড
পাবনার রূপপুর গ্রীণসিটি প্রকল্পে আসবাবপত্র ও সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে শাস্তি দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. আলমগীর হোসেনকে নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ শাস্তি দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে নির্মাণাধীন রূপপুর গ্রীণসিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় গণপূর্ত অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাদের অবহেলা ও অসদাচরণ প্রমাণিত হয়।
তদন্তে দেখা যায়, ওই প্রকল্পে ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। প্রতিটি বালিশের দাম ধরা হয় ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং খাটে তুলতে মজুরি ধরা হয় ৭৬০ টাকা। একইভাবে একটি কমফোর্টারের জন্য ব্যয় দেখানো হয় ২২ হাজার টাকার বেশি। বাজারদরের তুলনায় এসব খরচ ছিল অস্বাভাবিক।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এ শাস্তি দেয়া হয়।