
সি–পুতিন–কিমরা মধ্যাহ্নভোজে কী কী খেলেন
চীন সফর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন। চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পুতিন আর কিমসহ ২৬ রাষ্ট্রনেতাকে রাজধানী বেইজিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের ৮০তম বার্ষিকীতে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছেন এসব নেতা। এরপর তাঁরা সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
হংকংভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালিত পত্রিকা ওয়েন ওয়েই পো বেইজিংয়ে রাষ্ট্রনেতাদের দুপুরের খাবারের মেনুর একটি ছবি প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি বলছে, খাবারের টেবিলে ছিল মুরগির মাংসের স্যুপ। আরও ছিল রোস্ট করা ভেড়ার মাংসের চপ, কাঁকড়া আর লবস্টার ভাজা।
রাষ্ট্রনেতারা পাতে তুলেছেন ঝিনুকের স্বচ্ছ স্যুপ, সঙ্গে মাশরুম ও লবণ দিয়ে ম্যারিনেট করা রোস্টেড স্যামন মাছ।
খাবার টেবিলে দুই ধরনের ওয়াইন ছিল। লাল রঙের সায়রাহ ও সাদা রঙের রিয়েসলিং। চীনের হেবেই প্রদেশের ওয়াইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘গ্রেট ওয়াল’ এসব ওয়াইন উৎপাদন করেছে।
শেষ পাতে ছিল পাই কেক এবং ম্যাঙ্গো মুজ কেক।
মধ্যাহ্নভোজে দেয়া ভাষণে সি চিন পিং বলেন, বিশ্বকে ‘কখনো জঙ্গলের আইনে ফিরে যেতে দেয়া হবে না, যেখানে শক্তিশালীরা দুর্বলদের শিকার করে।’
চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, সব দেশ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে, শান্তিকে মূল্য দেবে এবং মানবতার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করবে।’
কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য বেইজিংয়ে আমন্ত্রিত ২৬ রাষ্ট্রনেতার নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে চীনের স্টেট কাউন্সিল। তাঁদের মধ্যে আছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট লুয়ং কুয়ং, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মনানগাগওয়া, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচ, কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল।
তালিকায় আরও আছে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন অং হ্লাইং, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো প্রমুখ রাষ্ট্রনেতার নাম।
চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া—এই তিন দেশের রাষ্ট্রনেতারা এবারই প্রথম একসঙ্গে হয়েছেন।