অ্যালোভেরা
লোককাহিনিতে আছে রূপচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করতেন মিশরের রানি। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় এক ভরসার নাম। যা ত্বক ও চুল দুটোর সৌন্দর্যেই কাজ করে।
অ্যালোভেরা কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমি বলেন, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চা–চামচ গ্লিসারিন আর ২ চা–চামচ ময়দা, চালের গুঁড়াও হবে এবং কয়েক চামচ উষ্ণ গরম দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মুখে ও গলায় ব্যবহার করুন। এরপর শুকিয়ে এলে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়া চুলের জন্য ভিজিয়ে রাখা মসুরের ডাল ব্লেন্ড করে সেটাও অ্যালোভেরার জেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা যায়। তাতে চুল হবে খুশকিমুক্ত আর ঝলমলে। চট করে বাজার থেকে অ্যালোভেরা কিনে বা বাগান থেকে অ্যালোভেরা ছিঁড়ে জেল লাগানো যাবে না। তাতে এর জেলে কিছুটা বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।
রিডার্স ডাইজেস্ট অনুসারে অ্যালোভেরা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস। এখানে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, ফলিক অ্যাসিড, বি-১, বি-২, বি-৩ (নিয়াসিন) ও ভিটামিন বি-৬। অল্প কিছু উদ্ভিদের ভেতর ঘৃতকুমারী একটি, যাতে ভিটামিন বি-১২ আছে। এছাড়া রয়েছে ২০ ধরনের খনিজ। আরও আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ। অ্যামিনো আর ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ভালো উৎস এই অ্যালোভেরা।
১. অ্যালোভেরাতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ত্বক থেকে বয়সের ছাপ, ব্রণের দাগ, ট্যান দূর করে।
২. নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ে।
৩. অ্যালোভেরা ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান । নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হয়। গরমকালে অ্যালোভেরার ভেতর থেকে জেল বের করে আইস ট্রেতে বরফের কিউব তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন। ঘৃতকুমারীর নির্যাসের সঙ্গে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে আলতোভাবে ঘষতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে মেছতার দাগ কমে যাবে।
৪. অ্যালোভেরার অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি–ফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
৫. ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করতে চালের গুঁড়ার সঙ্গে ঘৃতকুমারীর রস মিশিয়ে ঘষতে পারেন। নিয়মিত ঘৃতকুমারীর জেল ব্যবহারে ঠোঁট থাকবে উজ্জ্বল ও কোমল।