নির্বাচনে হেরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এক আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। নিজের বিশ্ববিদ্যালয় হাওয়ার্ডের সিঁড়ি মঞ্চে দাঁড়িয়ে পরাজয় স্বীকার করেন তিনি। তবে যে আদর্শ তাঁর নির্বাচনী প্রচারাভিযানে শক্তি জুগিয়েছে, সে আদর্শের জন্য লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারও করছেন কমলা।
বুধবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় বিকেলে জোর করতালির মধ্যে মঞ্চে উঠে কিছুক্ষণ সমর্থকদের দিকে উজ্জ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন কমলা। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছিল শিল্পী বিয়ন্সের গান– ফ্রিডম। তবে কমলা ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর সমর্থকদের বেশির ভাগের চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। এ সময় ধরা গলায় তিনি বলেন, মানুষের প্রাপ্য মর্যাদার জন্য লড়াই করুন। তিনি নারী অধিকার ও বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
কমলা বলেন, আমি এই নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেছি, তবে লড়াইয়ে হার মানব না। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
কমলা বলেন, আমার হৃদয় আজ পরিপূর্ণ। বেশ আবেগঘন হয়ে কমলা তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন। সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি জানি ফল আশানুরূপ হয়নি। কিন্তু আপনারা যে আমার ওপর আস্থা রেখেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা, আর আমার দেশের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘হতাশাজনক’ পরাজয় স্বীকার করেন কমলা। তবে লড়াই জারি থাকবে বলেও সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দেন। ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি সমর্থকদের আমেরিকার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এটি একে অপরের হাত ছেড়ে দেওয়ার সময় না, বরং ধৈর্য ধরার সময়, বলছিলেন তিনি। কমলা তাঁর পরিবারকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ করে তাঁর স্বামীর কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি জিল ও জো বাইডেন এবং তাঁর রানিং মেট টিম ওয়ালজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তাঁর দল, স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা এই নির্বাচনের পেছনে আক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন। তিনি ভোটকর্মী এবং স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।