নারীর গোপন ভিডিও করে ফেঁসে গেলেন বিটিআরসির উপপরিচালক

এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করে ধর্ষণ এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগে বিটিআরসির উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানার পুলিশ। তার মুঠোফোন থেকে ওই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ধানমন্ডি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক নারী। পরে ওই দিনই সনজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর পরদিন শনিবার সনজিবকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে আদালত তাকে জেলগেটে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আমিরাতে ১১ দিনে ১১ প্রবাসী বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে সনজিবের সঙ্গে পরিচয় এবং সম্পর্ক হয় ওই নারীর। তখন সনজিব তার নাম–পরিচয় গোপন করেন।  এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সনজিবের প্রকৃত পরিচয় জানার পর তিনি আর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাননি।

কিন্তু সনজিব তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন এবং ২০১৪ সালে সনজিব কৌশলে তাকে একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছয় থেকে সাত বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখেন সনজিব। এগুলো পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে পাঠিয়েও ব্ল্যাকমেল করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট সনজিব আবারও তার ধানমন্ডির বাসায় ডেকে এনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করে বাসায় আটকে রাখেন। পরে সনজিবের এক বন্ধু এসে জানতে চান কি হয়েছে। তিনি বিস্তারিত জানানোর পর বাসায় পৌঁছে দেন।