
পূর্ণিমা
সিনেমায় কাজ কম করলেও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা উপস্থাপনায় সরব। ভিন্ন ভিন্ন সব উপস্থাপনার অনুষ্ঠান দিয়ে তাঁকে নিয়মিত দেখা যায়। সম্প্রতি তাঁকে রান্নার অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে দেখা গেছে। রান্নাবিষয়ক সেই অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে কাজ করে পূর্ণিমা ছিলেন আলোচনায়। আজ রোববার দেশের জনপ্রিয় এই নায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন, যা তাঁর ভক্ত ও নেটিজেনদের নজরে এসেছে। পূর্ণিমা তাঁর ফেসবুক পোস্টে মানুষের স্বার্থপর আচরণ ও সম্পর্ক নিয়ে তাঁর গভীর উপলব্ধির কথা বলেছেন।
পূর্ণিমা লিখেছেন, ‘মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় টের পাই—তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ। প্রয়োজনে তারা বন্ধুর মুখোশ পরে পাশে ঘোরে, আর সুযোগ পেলেই বিষ ঢেলে দেয় আমাদের স্বপ্নে, আমাদের জীবনে।’
মানুষের যখন সুসময় থাকে তখন চারপাশে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী জোটে, প্রশংসা করার মানুষের অভাব হয় না, ফেসবুক পোস্টে পূর্ণিমা এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘যখন মানুষ জীবনের সাফল্যের শিখরে পৌঁছায়, তখন এরা মৌমাছির মতো চারপাশে গুনগুন করে ঘুরে বেড়ায়। প্রশংসার ফুলঝুরি ঝরিয়ে, সান্নিধ্যের ভান করে তারা আসলে নিজের স্বার্থের মধু সংগ্রহ করে। কিন্তু সময়ের চাকা যখন বিপরীতমুখী হয়, জীবন যখন সংগ্রামের অন্ধকারে ডুবে যায়, তখন তারাই সবার আগে দূরে সরে যায়। ঠিক যেমন মৌমাছি ফুল থেকে মধু নিঃশেষ হলে অন্য ফুলের কাছে উড়ে যায়, তেমনি তারাও সরে যায় স্বার্থের টানে।’
ফেসবুক পোস্টের শেষে সুবিধাবাদী মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’
নব্বই দশকের শেষ দিকে ঢালিউডে অভিষেক চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবিটি যখন ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়, তখন এই তারকা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিন দশকের অভিনয়জীবনে একটানা ২০২০ সাল পর্যন্ত সিনেমায় কাজ করেছেন। রুপালি পর্দার আলোচিত নায়িকা পূর্ণিমা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ মুক্তি পায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ নামের দুটি সিনেমা আছে মুক্তির প্রতীক্ষায়।