
নেপাল কারাগার
নেপালে চলমান অস্থিরতার মধ্যে এবার কারাগারে ভাঙচুর ঠেকাতে গুলি চালিয়েছে সেনারা। এতে অন্তত ১২ থেকে ১৩ জন বন্দী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগমতী প্রদেশের রামেচাপ জেলার একটি কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বন্দীরা প্রথমে একাধিক অভ্যন্তরীণ তালা ভেঙে মূল ফটক খুলে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এসময় তারা দলবদ্ধভাবে মূল ফটকের দিকে এগিয়ে এলে সেনারা গুলি চালায়। ফলে অন্তত এক ডজন বন্দী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
রামেচাপ জেলার প্রশাসক শ্যাম কৃষ্ণ ঠাকুর গণমাধ্যমকে বলেন, “কমপক্ষে ১২ থেকে ১৩ জন বন্দী আহত হয়েছেন। সেনারা গুলি চালায় যখন তারা মূল ফটকের দিকে চলে আসে।”
কারাগারে বর্তমানে ৩০০ জনেরও বেশি বন্দী রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি ছোড়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং কোনো বন্দী পালাতে সক্ষম হয়নি।
এর আগে সাম্প্রতিক সহিংস আন্দোলন–বিক্ষোভের সময় নেপালের বিভিন্ন কারাগারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত কয়েক দিনে দেশজুড়ে অন্তত ১৫ হাজার বন্দী পালিয়ে গেছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ এখন সেনাবাহিনীর হাতে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সরকার পতনের পর অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে আন্দোলনরত তরুণরা একটি অনলাইন ভোটের মাধ্যমে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কর্কিকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে তিনি সর্বসম্মত প্রার্থী নন এবং এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।