ঢাকা,  শনিবার
০৪ মে ২০২৪

Advertisement
Advertisement

চোখের পাতা পড়ে যায় কেন

প্রকাশিত: ২১:১৬, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২১:২৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

চোখের পাতা পড়ে যায় কেন

চোখের স্ট্রোক

চোখের পাতার প্যারালাইসিস হয়। এক চোখ বন্ধ হয়ে যায়, টেনেও খোলা যায় না। আর এভাবে হঠাৎ চোখের পাতা পড়ে যাওয়াকে বলে টোসিস। কখনো কখনো এর সঙ্গে মুখের অন্যান্য অংশও প্যারালাইসিস হয়ে যায়। এর ফলে চোখে দেখতে যেমন সমস্যা হয়, চোখ দিয়ে পানি ঝরে। মুখমণ্ডল অবশ হলে খাওয়াদাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। অনেকের কথা জড়িয়ে যায়।

কারণ

চোখের পাতার প্যারালাইসিসের অন্যতম কারণ হলো মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ছয়টি দিকবি, ই, এফ, এ, এস ও টি খেয়াল রাখতে হবে। ‘বি মানে ব্যালান্স (ভারসাম্য), ‘ই মানে আই (চোখ), ‘এফ মানে ফেস (মুখমণ্ডল), ‘এ মানে আর্মস (বাহু), ‘এস মানে স্পিচ (কথা বলা) আর ‘টি মানে টাইম (সময়)।

স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির চলাচলের ভারসাম্যে, দৃষ্টিতে, মুখ এক দিকে বেঁকে যাওয়া, অনেক সময় হাত তুলতে না পারা ও কথা জড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। এগুলোর মধ্যে কোনোটা হলে বুঝতে হবে স্ট্রোক হয়েছে এবং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

স্ট্রোক ছাড়াও মস্তিষ্কের সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণেও চোখের পাতার প্যারালাইসিস হয়। অনেক সময় মস্তিষ্ক থেকে আগত তৃতীয় ক্রেনিয়াল নার্ভে সমস্যা হওয়ার কারণে চোখের পাতা পড়ে যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কে টিউমার বা মিডব্রেনে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে এই নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার পেশির কিছু বিরল রোগ যেমন মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিস হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

চিকিৎসা

এ ধরনের সমস্যার জন্য অনেকেই চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে যান। কিন্তু এটি স্নায়ুবিশেষজ্ঞের কাজ। স্ট্রোক হওয়ার পর স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রথম এক থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে যদি চিকিৎসা শুরু করা যায়, তা হলে ক্ষতি অনেকটাই রোধ করা যায়। তাই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, মস্তিষ্কের রক্তনালিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার ‘মস্তিষ্ক কোষ নষ্ট হয়। তাই তাড়াতাড়ি প্রতিবন্ধকতা খুলে দিলে অনেক রোগীকে রক্ষা করা যায়। ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ক্ষতি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531