ঢাকা,  শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪

Advertisement
Advertisement

ধনী ব্যক্তিরা যে ৫ নিয়ম মেনে চলেন

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ধনী ব্যক্তিরা যে ৫ নিয়ম মেনে চলেন

ধনী ব্যক্তি

অনেকেই মনে করেন ধনদৌলত হয়তো উত্তরাধিকারসূত্রেই আসে, অথবা কপালজোরে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক ধনী মানুষ আছেন, যাঁরা মা-বাবার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং নিজের মেধা আর পরিশ্রমে অর্থশালী হয়েছেন। জমানো টাকা বিনিয়োগ করে নিজের মেধাবলে সেই টাকাকে বাড়িয়েছেন কয়েক গুণ। আর এভাবে যাঁরা সফল হয়েছেন, তারা কিছু ভালো অভ্যাস মেনে চলেন। এসব অভ্যাসের চর্চা করে নিজের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারেন—

ঋণে জড়াবেন না

চেষ্টা করবেন কখনো ঋণে না জড়াতে। এই অভ্যাস করতে পারলে কয়েক মাসের ব্যবধানেই আপনার আর্থিক অবস্থার চিত্র বদলে যাবে। যদি ঋণ নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, ছোট বা বড়, অথবা ক্রেডিট কার্ডে; তাহলে এসব ঋণের কিস্তি বা সুদের হিসাব মিটিয়ে মাস শেষে আপনার হাতে জমানোর মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তাই তাৎক্ষণিকভাবে যতটুকু পরিশোধ করতে পারবেন, সেটুকুই খরচ করুন।

প্রতি মাসেই সব খরচ বাদে কিছু টাকা সঞ্চয় করুন। বেশির ভাগ সফল মানুষ তাঁদের মাসিক খরচের বাইরেও বেতনের একটি অংশ জরুরি প্রয়োজনের জন্য আলাদা করে রাখেন। বিপদ তো আর বলেকয়ে আসে না! তাই দুর্দিনের জন্য সঞ্চয় থাকলে বিপদের সময়ও একেবারে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়তে হয় না। আপনি যদি ১০০ টাকা করেও জমাতে থাকেন, দেখবেন একটা নির্দিষ্ট সময় পরে টাকার অঙ্কটা বড়সড় দেখাচ্ছে।  

আর্থিকভাবে সফল লোকজন সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করেন। তবে বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি নেওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। বিনিয়োগের জন্য ব্যয় করা টাকা পরে কখন আবার আপনার দরকার হতে পারে, লাভ-ক্ষতি কতটুকু হতে পারে; এসব হিসাব সূক্ষ্মভাবে করেই মাঠে নামতে হবে। এতে একধরনের মানসিক প্রস্তুতি থাকে। পৃথিবীর বেশির ভাগ ধনী মানুষের দর্শনই হলো আয় বুঝে জীবনযাপন।

জীবনে উন্নতি করতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ এবং পূরণের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা খুব জরুরি। শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না, সেটার নিয়মিত পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। লক্ষ্যহীনভাবে এগোলে কখনোই কাঙ্ক্ষিত আশা পূরণ হবে না। তাই ছোট হোক, বড় হোক একটা একটা করে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং তার জন্য সঞ্চয় করুন।

যাঁরা সফল তাঁরা সব সময় নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যবেক্ষণ করেন। আপনি যদি আপনার আয়ের পুরো অংশটা ব্যক্তিগত ভোগে ব্যয় করেন, তাহলে সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করে কখনোই ধনী হতে পারবেন না।

বাজেটের মধ্যে থাকা

টাকা ব্যয় করে ফেলাটা খুব সহজ। অনেক সময় বিকাশ, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ছাড়াও ডিজিটাল পেমেন্টের কারণে বাজেট ব্যবস্থাপনায় সহজেই খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই বড় লক্ষ্য পূরণে কিছুটা মানসিক স্থিরতা জরুরি। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যেই খরচের লাগাম টেনে রাখবেন।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531