মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। আর এবার মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি। জটিল রোগে যাদের ওষুধের বিকল্প কিছু নেই, তাদের এখন মাথায় হাত। পথ্যের ব্যবহার ও বিক্রি নিয়ে বিশ্ব্যব্যাপী গবেষণা করে আইকিউভিআইএ। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আগের তুলনায় দেশে ওষুধ বিক্রি কমেছে। গত দুই বছর আগে ওষুধ বিক্রির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ থাকলেও এখন তা কমে পৌঁছেছে ২ শতাংশে।
আর ফার্মাসিউটিক্যালের তথ্য বলছে, যেসব ওষুধ না খেলেই নয় এমন ওষুধও রোগীরা পরিবর্তন করছেন। তারা আরও কম দামের ওষুধ খুঁজছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্য সমন্বয় করতে না পেরেই বিকল্প উপায় খুঁজছেন তারা।
মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এখন দেশে সবকিছুর মতো ওষুধের দামও বেশি। যেসব ওষুধ একেবারে না নিলেই চলে না, সেগুলো কেনা হয়। তবে তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয ওষুধ কেনার প্রতি আগ্রহ বেশি।
লাজ ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, গত কয়েক মাসে ওষুধ বিক্রি কমেছে। সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী কতজন আছে? অঢেল টাকা আছে এমন মানুষও কম। দেশের অধিকাংশ মানুষই মধ্যবিত্ত শ্রেণির। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে এসব মানুষ কিছুটা সংকটময় সময় পার করছে। যার প্রভাবে ওষুধ বিক্রি কিছুটা কমেছে।