ইরানে হামলা
ইরানে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলা হয়, দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দারা প্রদেশে হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দারা প্রদেশে সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
গত শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আক্রমণের পর থেকেই দেশটির পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারিতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় ছিল ইরান। শুক্রবার ভোরে ইসফাহানে ইসরায়েল হামলা করেছে এমন দাবি করা হচ্ছে, কারণ সেখানে বেশ কিছু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী তেহরান থেকে প্রদেশটি দূরত্ব সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। ইসফাহানেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি “নির্ভরযোগ্য” সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে। কোনো হামলা হয়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইআরআইবি জানিয়েছে, ইসফাহান শহর নিরাপদ অবস্থায়ই আছে। বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসফাহান, সিরাজ ও তেহরানের মতো বড় শহরগুলো থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল ইতোমধ্যেই স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বিমান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস্ এবং ফ্লাই দুবাই ইরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তাদের ফ্লাইট প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে।
ইসফাহান একরকম ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল। প্রশিক্ষণ, গবেষণা থেকে শুরু করে দেশটির পারমাণবিক সামর্থ্য বাড়ানোর সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় এখানে।