ইরানের ড্রোন হামলা
- দীর্ঘদিন দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চলে আসছে। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা করেছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি জায়গায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
- ইরান ছাড়াও ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকেও তিনশোর বেশি ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
- তবে এর বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত করার আগেই আকাশে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জর্ডান এতে সহায়তা করেছে।
- শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড কোর জানিয়েছে, তারা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
- এদিকে লেবাননের হেজবুল্লাহ দাবি করেছে, গোলান হাইটসে ইসরায়েলি সামরিক ঘাটি লক্ষ্য করে তারাও রকেট হামলা করেছে।
- তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ৯৯ শতাংশই তারা মাঝ আকাশে ধ্বংস করে দিয়েছে।
- ইরানের এই হামলার সমুচিত জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা।
- ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগরি জানিয়েছেন, হাতেগোনা কয়েকটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত করতে পেরেছে। এতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আর ১২ জন আহত হয়েছে।
- তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলায় ইসরায়েলি নেভাতিম বিমান ঘাটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
- ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইরানের হামলা এখনো শেষ হয়নি।
- অন্যদিকে ইরান সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল রাতের এই হামলার জবাব দেয়ার চেষ্টা করা হলে এর চেয়েও বড় হামলা চালানো হবে।
- এদিকে রোববার এবিষয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক করবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অন্যদিকে ‘কূটনৈতিক প্রত্যুত্তর’ দেয়ার জন্য জি সেভেন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।