ঢাকা,  বুধবার
০৮ অক্টোবর ২০২৫

Advertisement
Advertisement

ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা না জুলাই সনদ, স্পষ্ট করলেন তারেক রহমান

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ৭ অক্টোবর ২০২৫

ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা না জুলাই সনদ, স্পষ্ট করলেন তারেক রহমান

তারেক রহমান

বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৩১ দফা না কি জুলাই সনদ, কোনটি অগ্রাধিকার পাবে। বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে অবশ্যই ঐকমত্য কমিশনে যেগুলোতে সবাই মিলে একমত হয়েছে, সেগুলোতে প্রথমে জোর দেবে।

তারেক রহমান বলেন, আমরা যেগুলোতে একমত হয়েছি, প্রথমে সেগুলোর ওপরেই জোর দেব। সেটা যে নামেই বলেন না কেন, স্বাভাবিকভাবে আমরা ঐকমত্য কমিশনে যেগুলোতে সবাই মিলে একমত হয়েছি, সেগুলোতে ইনশা আল্লাহ সরকার গঠনের সুযোগ পেলে প্রথমে জোর দেব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অবশ্যই ৩১ দফা আমাদের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট। আমরা তো আমাদের ৩১ দফার মধ্যে যেগুলো এটার (জুলাই সনদ) সঙ্গে মিলে গেছে, সেগুলো তো করবই। এর বাইরে যেগুলো ৩১ দফায় থাকবে, সেগুলোও বাস্তবায়ন করব। কারণ, ওটা তো আমাদের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট। এটাও যেমন পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট, ওটাও আমাদের পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়গুলো নিয়ে বা বাস্তবায়নের পথ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে একটা বিতর্ক আছে। অনেক দল বলছে যে নির্বাচনের আগেই আইনি ভিত্তি দেওয়া বা বাস্তবায়ন করা। আর বিএনপি বলছে, নির্বাচিত সংসদ সেটা করবে। এই জায়গাটা থেকে বেরিয়ে আসার উপায়টা কী, বিএনপির চিন্তাটা এখন কীএমন প্রশ্ন ছিল তারেক রহমানের প্রতি।

জবাবে তারেক রহমান বলেন, দেখুন, এখানে আবার আমাকে বলতে হচ্ছে, আমরা কিন্তু কোনো হাইড অ্যান্ড সিক করছি না। যদি আমাদের সে রকম অসৎ উদ্দেশ্য থাকত, মনের ভেতরে থাকত একটা, বলতাম আরেকটা যে ঠিক আছে, ওকে, অসুবিধা নেই। তারপর ইনশা আল্লাহ আমরা সরকার গঠনে সক্ষম হলে আমরা হয়তো করতাম না। তো আমরা যেটা মনে করছি, সেটাই বলছি।

সাম্প্রতিক নেপালের ঘটনার উদাহরণ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, তারা কিন্তু এত কিছুর মধ্যে যাচ্ছে না, তারা বলছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা সংস্কার যা-ই আছেজনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি এসে সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

সেই সূত্র ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘তারপরও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট সবকিছু বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলো বসেছে, অন্তর্বর্তী সরকার আহ্বান করেছে। এখানে যতটুকু হয়েছে, আমরা বলেছি, এখন যতটুকু হয়েছে, যেগুলো শুধু আইন দিয়ে করলে হয়ে যায়, সেগুলো হয়ে যাক। যেগুলোর সাংবিধানিক এনডোর্সমেন্ট লাগবে, সেগুলো আমরা মনে করি যে নির্বাচিত সংসদ হওয়ার পর সেখানে গ্রহণ করাটাই ভালো হবে।

কারণ হিসেবে তারেক রহমান বলেন, নির্বাচিত সংসদের কথা বলা হচ্ছে, আবার যদি তাকে বাদ দিয়ে আউট অব দি বক্স কিছু করা হয় এবং এটা রেওয়াজ হয়ে যায়, তাহলে এটা সাংবিধানিকভাবে, আইনগতভাবে হোক বা যেকোনো দিক থেকে হোক, এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। দেশের জন্য সামগ্রিকভাবে ক্ষতির একটি কারণ হবে। সে জন্য বিএনপি এটার সঙ্গে একমত নয়।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, বিএনপি ৩১ দফা ও জুলাই সনদকে একসঙ্গে দেখছে। তবে সাংবিধানিক ও আইনগত সীমারেখা মেনে, দেশের স্বার্থ ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এগোতে চায় দলটি।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531