দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা

দেশে ফের বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। নতুন একটি উপধরনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ১১ দফা করণীয় নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১১ জুন ২০২৫) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এই নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, করোনার কয়েকটি নতুন সাব–ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যেই দেশে শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই সংক্রমণ বিস্তারের আশঙ্কা থাকায় দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের জন্য নির্দেশনা:

১. জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং প্রয়োজনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
২. শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. হাঁচি-কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে নিন।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
৫. সাবান ও পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সন্দেহজনক রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়:

১. জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে ঘরে থাকুন এবং বিশ্রাম নিন।
২. রোগীকে মাস্ক পরতে বলুন।
৩. সেবাদানকারীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
৪. প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআরের (০১৪০১–১৯৬২৯৩) বা স্বাস্থ্য বাতায়নের (১৬২৬৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘XFJ’ নামে একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে করোনা পরীক্ষার (RT-PCR, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন), টিকা, চিকিৎসা, ওষুধ, অক্সিজেন, ICU, HDU, ও কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ সব প্রস্তুতি চলছে। KN95 মাস্ক, PPE, ফেস শিল্ডসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম মজুত রাখা হচ্ছে।

সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়।