
বিমান দুর্ঘটনা
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক অভিমুখে যাত্রা শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি। এতে ছিলেন ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য।
✈️ আছড়ে পড়ল মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে
উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহমেদাবাদের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় শুধু বিমানের যাত্রী-ক্রু-ই নয়, ছাত্রাবাসে অবস্থানরত এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
? আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি, ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মর্মান্তিক দৃশ্য
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যায়। দৃশ্যটি স্থানীয় কেউ ক্যামেরায় ধারণ করে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশে উঠছে।
? যাত্রীদের পরিচয়
নিহত ও আহত যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন:
-
?? ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক
-
?? ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক
-
?? ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক
-
?? ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক
? হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বহু আহতকে
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত দমকল ও পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে বহু আহত যাত্রী ও শিক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
?️ প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,
“বিমানটা বিকট শব্দে এসে ছাত্রাবাসে পড়ে। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। চারপাশে আর্তনাদ আর ধোঁয়া—সবকিছু যেন থমকে গিয়েছিল।”
? সরকারি প্রতিক্রিয়া
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,
“এটা আহমেদাবাদের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দিন। আমরা এত তরুণের মৃত্যুতে শোকাহত।”
তবে সরকারিভাবে এখনো ছাত্রাবাসে ঠিক কতজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করা হয়নি।
? উদ্ধার ও তদন্ত
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ডিজিএসিএ (DGCA) এবং বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বোয়িং কোম্পানিকেও তদন্তে অংশ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গোটা ভারতজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক নেতারাও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।