
ট্রাম্প-শারা
সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) তিনি সৌদি রাজধানী রিয়াদে আসেন। আজ বুধবার (১৪ মে) সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি দপ্তর ও বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প-শারা বৈঠক: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বার্তা
ট্রাম্প বর্তমানে উপসাগরীয় তিন দেশ—সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—সফরে রয়েছেন। সফরের অংশ হিসেবেই তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারার সঙ্গে বৈঠকে রাজি হন। রিয়াদে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন,
“আমি সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষ্ঠুর ও ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেব, যাতে দেশটি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। সিরিয়ার পুনর্গঠন ও বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার পথ সুগম করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সিরিয়ায় রাজনৈতিক পালাবদল
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন সিরিয়া শাসন করা বাশার আল-আসাদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ায় পালিয়ে গেলে তার শাসনের অবসান ঘটে। এর মধ্য দিয়ে ১৯৬৩ সাল থেকে শুরু হওয়া বাথ পার্টির শাসনেরও সমাপ্তি হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি ট্রানজিশনাল প্রশাসন গঠিত হয় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন আহমেদ আল-শারা।
নতুন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে সহায়তা পেতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এ প্রক্রিয়ায় বড় বাধা হয়ে রয়েছে। আজকের বৈঠকে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সিরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সংযোগের উদাহরণ হতে যাচ্ছে। এই বৈঠকের সফলতা সিরিয়ার জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।