ঢাকা,  শুক্রবার
২৬ এপ্রিল ২০২৪

Advertisement
Advertisement

গুপ্তধনে ভরা গুহ, বিস্ফোরণেও দেয়াল ভাঙেনি

প্রকাশিত: ০০:২০, ২১ এপ্রিল ২০২৩

গুপ্তধনে ভরা গুহ, বিস্ফোরণেও দেয়াল ভাঙেনি

গুহা

প্রাচীন লিপি, শিল্প-ভাস্কর্য এবং ইতিহাস সবই ফুটে উঠেছে এই গুহায়। আবার কখনও সেই গুহার ভেতর থেকে উঠে এসেছে গুপ্তধন। রকম গুহার সংখ্যা ভারতে কম নয়। সোন ভান্ডার তার মধ্যেই একটি।

এই সোন ভান্ডার বা সোনে ভান্ডার গুহা। যেখানে সঞ্চিত রয়েছে সোনা, রত্ন। তবে হাজার হাজার বছর ধরে তার খোঁজ চালিয়েও হদিস মেলেনি। অনেকে আবার মনে করেন, সবটাই গল্পগাথা।

কোথায় রয়েছে এই সোন ভান্ডার? বিহারের রাজগিরে রয়েছে এই গুহা। বৈভর পাহাড়ের পাদদেশে। দুটি কৃত্রিম গুহা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই সোন ভান্ডার।

সোনার ভান্ডার। সেই থেকেই নাম সোন বা সোনে ভান্ডার। মনে করা হত, এই গুহার মধ্যে সঞ্চিত রয়েছে সোনা। তা থেকেই এই নাম।

গুহায় প্রবেশের মুখেই খোদাই করা রয়েছে লিপি। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, গুপ্ত যুগে এই লিপি খোদাই করা হয়েছে। কারণ লিপিতে যে ভাষা রয়েছে, তা গুপ্ত যুগের।

সেই লিপি দেখে ইতিহাসবিদরা মনে করেন, কোনও এক জৈন মুনি গুহাটি হয়তো তৈরি করেছেন। নাম ভৈরোদেব। গুহার স্থাপত্য দেখে ইতিহাসবিদদের ধারণা খ্রিস্টপূর্ব  ৪০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল গুহা।

গুহায় একটি বিষ্ণমূর্তিও খোদাই করা রয়েছে। তা থেকে ইতিহাসবিদরা এক প্রকার নিশ্চিত যে, এই গুহার সঙ্গে জৈনদের যোগ রয়েছে। ওই বিষ্ণুমূর্তি এখন নালন্দার জাদুঘরে রাখা রয়েছে।

গুহার দরজায় যে লিপি রয়েছে, তার অর্থ কী তা ইতিহাসবিদরা উদ্ধার করেছেন। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘ভৈরোদেব মুনি, আচার্যদের মধ্যে যিনি রত্ন, যার মহান দ্যুতি রয়েছে, তিনিই এই দুই মহান গুহা নির্মাণের কারণ। এই গুহায় তীর্থঙ্করদের ছবি রয়েছে।

ব্রিটিশ আমলে এই গুহা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক কানিংহাম ছিলেন নেতৃত্বে। সেই প্রত্নতাত্ত্বিক দল দাবি করেছিল, এই গুহা আদতে বৌদ্ধদের।

জনশ্রুতি রয়েছে, এই গুহার দেয়ালে লুকনো রয়েছে টন টন সোনা। গুহার মধ্যে নাকি গুপ্ত কক্ষও রয়েছে। সেই গুপ্ত কক্ষের দরজার ঠিকানা আজ পর্যন্ত কেউ উদ্ধার করতে পারেননি।

গুহার একটি দেওয়ালে দরজার মতো স্থাপত্য রয়েছে। তার পাশে রয়েছে একটি লিপি। সেই লিপির অর্থ আজও উদ্ধার করা যায়নি।

বার বার এই গুহার মধ্যে গুপ্তধনের সন্ধান চালিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। এমনকি ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক দল এই সোনার সন্ধানে দীর্ঘ দিন অভিযান চালিয়েছে। এমনকি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেওয়াল ভাঙার চেষ্টা করেছে। তার পরেও দেওয়াল ভাঙেনি। তাতে এতটুকু আঁচড়ও পড়েনি। তার পরেই গুহা নিয়ে রহস্য আরও বেড়েছে।

এই গুহায়গুপ্তধনএল কী ভাবে? জনশ্রুতি রয়েছে, গুহার সোনা নাকি আদতে জরাসন্ধের। তবে অনেকে মনে করেন এই সোনা বিম্বিসারের।

ছেলে অজাতশত্রু বাবা বিম্বিসারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন। ধারণা করা হয়, সে সময় বিম্বিসারের স্ত্রী কিছু সোনা এই গুহায় লুকিয়ে রাখেন। পরে সেগুলো জৈন তীর্থঙ্করদের দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 531