বুকে তীব্র ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যথা ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এমন কিছু উপসর্গই আছে, যেসবকে ঠিক হৃদ্রোগের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন না অনেকে। তাই জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরীর পরামর্শ রইলো।
ভিন্ন কিছু উপসর্গ
অত্যধিক ক্লান্তি বা অবসন্নতাকে খুব সাধারণ উপসর্গ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। তবে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকেও।
তাই খুব ক্লান্ত বা অবসন্ন হয়ে পড়ার অন্য কোনো কারণ না থাকলে এ ধরনের উপসর্গকে একদম অবহেলা করবেন না। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলে বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অন্য কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ খুব ঘাম হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সময়।
হার্ট অ্যাটাক হলে পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হয় অনেকের। এই ব্যথাকে সাধারণভাবে গ্যাসের ব্যথা ধরে নেওয়ার ভুল করেন অনেকেই।
পেটের ওপরের অংশে মাঝারি বা হালকা ধরনের ব্যথা হলে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে দেখতে পারেন। তাতে উন্নতি না হলে হাসপাতালে যান। ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে শুরুতেই হাসপাতালে যেতে হবে।
বাহু, কাঁধ, হাত, চোয়াল বা পিঠের দিকেও ব্যথা হতে পারে কারও কারও।
মাথা হালকা হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে।
না বুঝলে বাড়বে বিপদ
হৃৎপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে। তবে হৃৎপিণ্ডের নিজেরও তো রক্তের প্রয়োজন। সেই রক্ত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছায় কিছু নির্দিষ্ট ধমনির মাধ্যমে। একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অর্থ হলো তাঁর এসব ধমনির মধ্যে কোনো এক বা একাধিক ধমনির রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ওই ধমনি হৃৎপিণ্ডের যে নির্দিষ্ট জায়গায় রক্ত পৌঁছে দিত, সেই জায়গা তখন অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে। তাই ওই অংশের স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা করানো না হলে হৃৎপিণ্ডের ওই অংশ আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। ফলে হৃৎপিণ্ড আর আগের মতো ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না।
এভাবে একসময় হৃৎপিণ্ড বিকল হতে পারে। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রক্তচাপ বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে যেতে পারে। রোগী জ্ঞান হারাতে পারেন। এমনকি হতে পারে মৃত্যুও।
লাল মাংস বা চর্বিজাতীয় খাবার না খেলেও যে পাঁচ অভ্যাসে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
খেয়াল রাখুন
অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তের সুগার কমে গেলে অর্থাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলেও ঘাম হতে পারে। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে সুগার মেপে দেখতে হবে।
সুগার কমে গিয়ে থাকলে চিনি মেশানো পানি খাইয়ে দিতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। তবে তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, তাঁর ডায়াবেটিসের ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করার প্রয়োজনও হতে পারে।



.png)
.png)