
মৌসুমী হামিদ
টানা কয়েক দিন ধরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কক্সবাজারের স্থিরচিত্র শেয়ার করছেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। ফুরফুরে মেজাজে তিনি জানালেন, এখন তিনি পুরোপুরি পিকনিক মুডে আছেন। কারণ, তিনি শুটিং করছেন প্রথম ট্রাভেল ভ্লগ “এমন কক্সবাজার আগে দেখেছেন কি?”
ভ্রমণ ও ভ্লগিংয়ের প্রতি ঝোঁক
ভ্রমণপিপাসু মৌসুমী হামিদ বললেন, ‘আউটডোর শুটিং মানেই আমার কাছে পিকনিক। এবার করছি ট্রাভেল ভ্লগিং, যা আমার খুবই প্রিয়।’
তিনি আরও জানান, ভ্লগার নাদিরের কাজ তাঁর প্রেরণা হয়ে উঠেছে। “নাদির অন দ্য গো”-এর সাদামাটা অথচ তথ্যবহুল কনটেন্ট দেখে ভ্রমণ ভ্লগের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। ভবিষ্যতে তিনি এমন সব অচেনা ও অদ্ভুত সুন্দর জায়গা দর্শকদের সামনে আনতে চান, যেখানে সাধারণ পর্যটকের পদচিহ্ন পড়ে না।
১৫ বছরের অভিনয়যাত্রা
২০১০ সালে লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে অভিনয়জগতে যাত্রা শুরু করেন মৌসুমী। এরপর নাটক, টেলিছবি, সিনেমা ও উপস্থাপনায় সমানভাবে কাজ করেছেন। ডজনখানেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘জালালের গল্প’, ‘ব্ল্যাকমেইল’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ২’, ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ এবং সর্বশেষ ‘নয়া মানুষ’।
তিনি জানালেন, নতুন একটি সিনেমার কাজে নভেম্বরে শুটিং শুরু হবে। গল্প তাঁর ভালো লেগেছে, তবে আপাতত বিস্তারিত জানাতে চাইছেন না প্রযোজক–পরিচালকের অনুরোধে।
পডকাস্টের প্রতি আকর্ষণ
সাম্প্রতিক সময়ে পডকাস্টের প্রতিও ঝোঁক তৈরি হয়েছে মৌসুমীর। তিনি মনে করেন, টেলিভিশনের প্রচলিত ইন্টারভিউর তুলনায় পডকাস্ট অনেক তথ্যবহুল। বিশেষ করে বিদেশি পডকাস্ট তাঁকে অনুপ্রাণিত করছে। তাঁর মতে, মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা আমাদের দেশে এখনো খুব কম হয়। ভবিষ্যতে তিনি ভিন্নধর্মী একটি পডকাস্ট করার স্বপ্ন দেখছেন।
পরিচালনায় আগ্রহ
দীর্ঘ অভিনয়জীবনে সুমন আনোয়ারের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ক্যামেরার পেছনের কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন মৌসুমী। তিনি বলেন, ‘পরিচালনায় এখনো সাহস পাইনি। তবে নন-ফিকশন দিয়ে শুরু করতে চাই।’ তাঁর মতে, সুমন আনোয়ারের কাছ থেকে তিনি শিখেছেন কীভাবে শুটিং সেট পরিচালনা করতে হয় এবং শিল্পীর সঙ্গে পরিচালক কেমন আচরণ করবেন।
নতুন পরিচয়: উদ্যোক্তা
অভিনয়ের পাশাপাশি এখন ব্যবসাতেও যুক্ত হয়েছেন মৌসুমী হামিদ। ঢাকার নিকেতনে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। অভিনয়ের কাজ কমে যাওয়ায় নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্যই তাঁর এই উদ্যোগ। তিনি জানালেন, ‘আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ভীষণ উপভোগ করছি।’