ঢাকা,  শনিবার
০৭ জুন ২০২৫

Advertisement
Advertisement

হজের খুতবায় যেসব বিষয়ে আহ্ববান জানানো হলো

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ৫ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৬:০০, ৬ জুন ২০২৫

হজের খুতবায় যেসব বিষয়ে আহ্ববান জানানো হলো

হক

মক্কা, সৌদি আরব: ৯ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি (৫ জুন, ২০২৫) – আজ পবিত্র আরাফার দিনে ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানে সমবেত হাজিদের উদ্দেশ্যে হজের খুতবা প্রদান করেছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ আল হুমাইদ। স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১২টার দিকে মসজিদে নামিরাহ থেকে প্রদত্ত এই খুতবায় তিনি মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।

শয়তান মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু: ড. সালেহ

ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ আল হুমাইদ তাঁর খুতবায় শয়তানকে মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে মুসলমানদের প্রতি পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইমানদারদের কর্তব্য আল্লাহকে ভয় করা এবং তাকওয়া অবলম্বন করা, যা ইমানদারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি নেক আমলের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নেক আমল পাপসমূহকে মুছে দেয়। তাই আমাদের উচিত যত বেশি সম্ভব নেক আমল করার চেষ্টা করা। তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর হাদিস উল্লেখ করে বলেন, "আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করুন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন।"

বাবা-মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার ও লজ্জাশীলতার গুরুত্ব

খুতবায় ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ বাবা-মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার, নম্র আচরণ, প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং লজ্জাশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, লজ্জাশীলতা বা হায়া হলো ইমানের একটি শাখা।

নেক কাজে সহযোগিতা ও মন্দ কাজে বাধা দেওয়ার আহ্বান

হজের সময় বেশি বেশি আল্লাহর জিকির, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ প্রার্থনা এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে শায়খ সালেহ বলেন, আল্লাহ বলেছেন, "নেক কাজে একে অপরকে সাহায্য করো এবং মন্দ কাজে বাধা দাও।"

৩৫টি ভাষায় অনুবাদ ও সম্প্রচারিত খুতবা

সৌদি সরকারের উদ্যোগে হজের খুতবাটি মূল আরবিসহ বাংলা, ইংরেজি, চাইনিজ, রুশ, তুর্কি, রোহিঙ্গা, ফরাসি, তামিল, পশতুসহ প্রায় ৩৫টি ভাষায় অনুবাদ করে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হজের রোকন ‘উকুফে আরাফাহ’

হজের অন্যতম রোকন বা ফরজ হলো ‘উকুফে আরাফাহ’ বা আরাফার ময়দানে অবস্থান করা।

 নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল-হাজ্জু আল-আরাফাহ” অর্থাৎ আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ। আজ (৯ জিলহজ) জোহরের সময় থেকে সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। যদি কেউ সূর্যাস্তের আগে আরাফার সীমার বাইরে চলে যায়, তাহলে সূর্যাস্তের আগে আবার তাকে আরাফার মাঠে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় দম ওয়াজিব হবে।

আরাফায় অবস্থান না করলে হজ বাতিল

কেউ যদি জোহর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে আরাফার ময়দানে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে আজ রাতের মধ্যে সুবহে সাদিক পর্যন্ত কিছুক্ষণের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করতে হবে। ৯ জিলহজ জোহরের পর থেকে আগত রাতের সুবহে সাদিক পর্যন্ত কিছুক্ষণের জন্যও আরাফায় অবস্থান করতে না পারলে হজ বাতিল হয়ে যাবে।

আরাফার দিনে ক্ষমা ও দোয়া কবুলের বিশেষ ফজিলত

আরাফার দিনে আল্লাহ অধিক সংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করে দেন এবং দোয়া কবুল করেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, "আরাফার দিনের মতো আর কোনো দিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, কী চায় তারা? (অর্থাৎ তারা যা চায়, তাই তাদের দেওয়া হবে)" (সহিহ মুসলিম: ১৩৪৮)।

Advertisement
Advertisement

আরো পড়ুন  


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/dikdorshon/public_html/details.php on line 531