![গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রাসুল (সা.) তাকে বিচারক বানাতেন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রাসুল (সা.) তাকে বিচারক বানাতেন](https://www.dikdorshon.com/media/imgAll/2023February/islam-2402130428.jpg)
ইসলাম ধর্ম
সাহাবি সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.) ইসলাম ধর্ম কবুল করার পর তার প্রভাবে তার গোত্রের প্রত্যেক সদস্যই ইসলাম গ্রহণ করে। তিনি তার গোত্রে এতটাই প্রিয় ছিলেন। যখন মদিনায় হিজরত করে মুসলমানরা যান। তিনি মুসলমানদের সেবায় তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। মুহাজিরদের আতিথেয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ছিলেন খুবই আন্তরিক। এই মহান সাহাবির জন্য মদিনায় আউস গোত্রে।
রাসুল (সা.) এর মদিনায় হিজরতের পর বদর যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য বড় একটা ঘটনা। ওই যুদ্ধের প্রস্তুতির সময় সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.) ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমরা আপনার সঙ্গেই আছি। যদি আপনি আমাদের সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন, আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।
নৈতিক চরিত্রের বিচারে সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.) এর আসন ছিল অতি উচ্চ। তিনি বলতেন, আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। কিন্তু তিনটি বিষয়ে আমি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছি। ১. রাসুল (সা.)-এর মুখ থেকে যে কথা আমি শুনি, তার সবই যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, এ কথা আমি বিশ্বাস করি। ২. নামাজের সময় অন্য কোনো চিন্তা আমার মনে জেগে ওঠে না। ৩. মৃত ব্যক্তির জানাজার কাছে থাকলে মুনকির-নাকির ছাড়া আর কোনো ভাবনা আমার মনে আসে না।
রাসুল (সা.) যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতেন সেখানে সাদ (রা.) কে বিচারক নিয়োগ করতেন। তার পরামর্শকে গুরুত্ব দিতেন। একবার তার একটি বিচারের রায় শুনে রাসুল (সা.) বলেছিলেন, সাত আসমানের ওপর থেকে আল্লাহ যে ফয়সালা দিয়েছেন, তুমিও ঠিক একই ফয়সালা দিয়েছ।
খন্দকের যুদ্ধে সাদ (রা.) আহত হন। রাসুল (সা.) নিজ হাতে তার ক্ষতে সেক দিয়ে দিয়েছিলেন। একদিন সাদের ক্ষতটি ফেটে তীব্র বেগে রক্ত ঝরতে থাকে। রাসুল (সা.) দৌড়ে এসে সাদের মাথাটি নিজের কোলে তুলে নেন।
ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ইয়া মুহাম্মাদ, মৃত ব্যক্তিটি কে, যার জন্য আসমানের সব দরজা খুলে গেছে এবং আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে? রাসুল (সা.) দেখতে পেলেন, সাদ ইবনে মুয়াজ ইন্তেকাল করেছেন। রাসুল (সা.) নিজে তার জানাজা পড়ান। পরে মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।