ঢাকা,  সোমবার
০২ অক্টোবর ২০২৩

Advertisement

প্রাণীটি না কুকুর, না শিয়াল; পর যা জানা গেলো!

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রাণীটি না কুকুর, না শিয়াল; পর যা জানা গেলো!

এ এক বিচিত্র প্রাণী। না কুকুর, না শিয়াল! এটি আসলে কী, তা নিয়ে প্রথমে ব্যাপক ধন্দে পড়ে যান পশুচিকিৎসকেরা। তবে বিস্তর গবেষণার পর জানা গেছে, সেটি আসলে কুকুর ও শিয়ালের একটি সংকর।

ঘটনাটি ২০২১ সালের। ব্রাজিলের ভ্যাকেরিয়া এলাকায় একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে প্রাণীটির। সেটির শারীরিক গড়ন ছিল কুকুরের মতো, কানের অগ্রভাগ তীক্ষ্ণ, নাক পাতলা আর শরীরে ঘন পশম। এরপর আহত অবস্থায় সেটিকে চিকিৎসার জন্য পশুচিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়।

সুস্থ হওয়ার পর প্রাণীটির জাত নির্ধারণে স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটির জিন বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে জানা গেছে, স্ত্রী প্রাণীটির মা একটি শিয়াল আর বাবা একটি কুকুর। গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অ্যানিম্যালস নামের একটি সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রাণীটি এখন বেঁচে নেই। গত বছর অজানা কোনো কারণে সেটির মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাণীটি কুকুর ও শিয়ালের প্রথম সংকর। এ দুই প্রজাতির প্রাণী থেকে সংকর প্রাণী তৈরি হলেও সেগুলো (সংকর) সন্তান জন্ম দিতে পারে কি না, তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

কুকুর ও শিয়াল থেকে জন্ম নেওয়া ওই প্রাণী জীবিত অবস্থায় দুটি নামও পেয়েছিল। গবেষকেরা এর নাম দিয়েছিলেন ‘গ্রাক্সোরা’। আর যাঁরা প্রাণীটিকে দেখভাল করতেন, তাঁরা ডাকতেন ‘ডগজিম’ নামে। ‘ডগজিম’কে যে খাবার দেওয়া হতো, তা খেতে নারাজ ছিল সেটি। তার চেয়ে বরং খাবার হিসেবে ইঁদুরজাতীয় জীবিত প্রাণী পছন্দ করত সেটি।

প্রাণীটির সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল ফ্লাভিয়া ফেরারি নামের এক প্রাণী সংরক্ষণবিদের। তাঁর ভাষ্যমতে, প্রাণীটি লাজুক প্রকৃতির ছিল, কুকুরের মতো মিশুক ছিল না। আবার বন্য প্রাণীর মতো আগ্রাসীও নয়। লোকজন এড়িয়ে চলতে পছন্দ করলেও কখনো কখনো সেটির কাছে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যেত।

Advertisement
Advertisement

Notice: Undefined variable: sAddThis in /mnt/volume_sgp1_05/p1kq0rsou/public_html/details.php on line 528